ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরানের সরসারি হামলার পর নড়েচড়ে বসেছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য। শনিবার (১৩ এপ্রিল) তেল আবিবকে লক্ষ্য করে দুই শতাধিক ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়ার পর পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় ইসরায়েল। কিন্তু এ ধরনের হামলায় তাদের সাথে থাকবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় হোয়াইট হাউজ। তবে ইরানের ওপর আবারও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আভাস দেয়া হয় পশ্চিমা জোটের পক্ষ থেকে।
ইরানের হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকে পশ্চিমা নেতারা। বৈঠকে দুই পক্ষকেই সংযম দেখানোর আহ্বান জানান সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনীয় গুতেরেজ।
এবার সেই নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিকে সত্যে রূপান্তর করলো ইসরায়েলের প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শাহেদ-১৩১ ড্রোনের তৈরির সাথে যুক্ত, এমন ২ ব্যক্তির ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া আরও ১৬ জন ইরানীয় ব্যক্তির ওপর ফেলা হয়েছে নিষেধজ্ঞার খড়গ।
এছাড়াও আরও জানানো হয়, ইরানের স্টিল ইন্ডাস্ট্রির যুক্ত, এমন ৫টি কোম্পানিসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানীয় ড্রোন ইঞ্জিন সার্ভিসিংয়ের সাথে যুক্ত এমন ব্যক্তিদের নিষেজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
ইরানের মিসাইল ও ড্রোন কর্মসূচির লাগাম দিতেই যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন প্রচেষ্টা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পাশাপাশি এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ইরানকে জবাবদিহির আওতায় আনতে তার দেশ কোনোভাবেই কুণ্ঠাবোধ করবে না। তিনি জানান, যারা ইরানকে সমর্থন দিচ্ছে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ।
এটিএম/
Leave a reply