ইসরায়েলি হামলায় নিহত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র কমান্ডার ইসমাইল বাজকে শেষ বিদায় জানাতে জমায়েত হয় শত শত মানুষ। গত মঙ্গলবারের (১৬ এপ্রিল) হামলায় এই কমান্ডারসহ হিজবুল্লাহ’র অন্তত তিন সদস্য নিহত হন। জবাবে ইসরায়েলে মিসাইল-ড্রোন ছোঁড়ে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। এতে ইসরায়েলের অন্তত ১৪ সেনা আহত হয়।
এরইমধ্যে হিজবুল্লাহ’র হামলার জবাবও দিয়েছে ইসরায়েল। কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের এমন হামলা-পাল্টা হামলায় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে আরেক দফা চড়েছে উত্তেজনার পারদ। হামলার পাশাপাশি চলছে কথার লড়াইও।
হিজবুল্লাহ নেতা হুসাইন জাসি বলেন, ৭৫ বছর ধরে তোমরা যে অপরাধ করে আসছো, তার মূল্য চুকানোর সময় এসেছে। দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে নেতানিয়াহু সবাইকে থামাতে চেয়েছিলেন। তবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের পাল্টা জবাব নেতানিয়াহুর সিংহাসনকেই কাঁপিয়ে দিয়েছে। ইরান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েলের অবস্থান কতটা দুর্বল।
গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ছয় মাস ধরেই ইসরায়েলে রকেট-মিসাইল ছুঁড়ছে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ। এমনকি ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংঘাতে জড়িয়েছে দুপক্ষ। তবে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ইরানের নজিরবিহীন হামলার পর সেই আক্রমণের মাত্রা আরও বেড়েছে। এদিকে, সম্প্রতি লেবাননের ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননে ঢুকতে গিয়ে সীমান্তে পুঁতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে আহতও হয় কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলকে চাপে ফেলতে হিজবুল্লাহকে ব্যবহার করছে ইরান। বলা হচ্ছে, অন্যান্য ফ্রন্ট থেকেও ইরান সমর্থিত প্রক্সি গ্রুপগুলো বাড়াতে পারে ইসরায়েল বিরোধী তৎপরতা। নিজ ভূখণ্ডে হামলার জবাবে তেহরানকে প্রতিশোধের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে তেল আবিব। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে থামাতে প্রক্সিদের ব্যবহার করছে ইরান। ধারণা করা হচ্ছে, লোহিত সাগর আর ইসরায়েলে দখলকৃত গোলান মালভূমিতেও হামলার মাত্রা বাড়াতে পারে হুতিসহ ইরান সমর্থিত গ্রুপগুলো।
/এএম
Leave a reply