সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, সংবিধানে ১২৩ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদ রেখে নির্বাচন করা যাবে। ১২৩ (খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে – সংসদ ভেঙে নির্বাচন করা যাবে। সরকার বলছে সংসদ রেখে নির্বাচন করবে। অন্যরা বিকল্পটা চাচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, সংবিধানে সব লেখা থাকে না। অন্যান্যা সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়। এটা প্রথা।
গতকাল যমুনা টেলিভিশনে সন্ধ্যা ৬টায় প্রচারিত টকশো ‘রাজনীতি’তে অংশ নিয়ে এ ব্যাখ্যা দেন তিনি। যা নিয়ে পরবর্তীতে যমুনা অনলাইন ও যুগান্তর সংবাদ প্রচার করে।
তবে ড. শাহদীন মালিকের এই ব্যাখ্যাকে ‘জগাখিচুড়ির ব্যাখ্যা’ বলে অাখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি আজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ দাবি করেন। যদিও ওই টকশোতে আলোচক হিসেবে নওফেলও উপস্থিত ছিলেন।
নওফেল তার স্ট্যাটাসে লেখেন, আজ শাহদীন মালিকের বরাতে যুগান্তর পত্রিকায় একটি সংবাদ দেখলাম, সংসদ ভেঙে নির্বাচন করা যাবে এটা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ (৩)(খ) অনুযায়ি নাকি সম্ভব। এটি একটি সাংবিধানিক ব্যাখ্যা দেয়ার নামে প্রতারণার আশ্রয়। এই অনুচ্ছেদে যা আছে তা হলো মেয়াদউত্তীর্ন ব্যতিত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে দেয়া হলে তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সংসদ ‘যদি ভাঙে’, এখানে মূল কথাটি হচ্ছে ‘যদি’, এই যদির এখতেয়ার কে রাখেন? সংসদ নেতা। সংসদ নেতা কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। যিনি চাইলে রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দিতে বলতে পারেন। শাহদীন মালিকের এই এখতিয়ার নাই, আর তিনি যাদের এজেন্সি নিলেন সেই বিএনপি জামাতের উকিল মাহবুব উদ্দিন খোকন, মইনুল হোসেন, জয়নাল আবেদিন প্রমুখ, এদেরও কারো এই এখতিয়ার নাই। এটা সংসদ নেতার এখতিয়ার, তিনি না চাইলে সংসদ একদিন আগেও ভাঙবেনা।
তিনি আরো লেখেন, ভাঙার স্বপক্ষে কোনো যৌক্তিক কারণও দেশে নাই, যেমন অনাস্থা ভোট, জরুরি অবস্থা, ভাঙার পক্ষে জনমত ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা জগাখিচুরি মার্কা ব্যাখ্যা দিলেই কি হলো?
যমুনা অনলাইন: এফএম
Leave a reply