ইরানে ধর্মীয় রক্ষণশীলতা নয় বরং উদারনীতি চান পশ্চিমা দেশগুলোয় বসবাস করা ইরানিরা। তাদের বক্তব্য, নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিবর্তন আনার বিকল্প নেই। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রইসির মৃত্যুর পর এমন মন্তব্য করছেন, পশ্চিমা দেশগুলোয় অভিবাসী বা রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া ইরানিরা।
লস অ্যাঞ্জেলসের আর সব জায়গা থেকে কিছুটা আলাদা একটি স্থান। আশেপাশের সব স্থাপনাতেই ফুটে উঠেছে ইরানি ঐতিহ্য। রাজনৈতিক আশ্রয়ে কিংবা অভিবাসী হিসেবে এই এলাকায় বাস করছেন অনেক ইরানি।
প্রেসিডেন্ট রইসির মৃত্যুর পর বিভিন্ন দেশে যখন চলছে শোক তখন কিছুটা ভিন্ন প্রতিক্রিয়া এসব ইরানিদের। রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মীয় নীতি থেকে সরে উদার নীতি গ্রহণ করা হোক, এমনটাই মত তাদের। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত আরি রাশতি বলেন, আমার মনে হয় অনেক কিছু পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। ইরানিদের জীবনযাত্রা চাইলেই পরিবর্তন করা সম্ভব। যদিও এটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। ড্যানিয়েল তৌসি বলেন, ইরানে যে ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে আমরা তার পরিবর্তন চাই।
একই চিত্র জার্মানিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে সফলতা অর্জনের জন্য উদারপন্হার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন এসব দেশে বসবাস করা ইরানিরা। জার্মানিতে বসবাসরত এক ইরানি বলেন, আমরা চাই ইরানে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। সেই সাথে ব্যক্তি স্বাধীনতাও। মোহাম্মদ রেজা শরাফাতি বলেন, আমাদের আশা ইরান আবারও তার স্বাধীনতা ফিরে পাবে।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর বহু মানুষ আশ্রয় নেন পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে। জরিপ বলছে প্রায় ৫০ লাখ ইরানি বিদেশে আশ্রয়ে আছেন।
/আরআইএম
Leave a reply