ফাইনালে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত কলকাতা

|

ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালের পর ৯ মৌসুম পেরিয়ে গেলেও আইপিএলের শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। সবশেষ কয়েক মৌসুমে নিজেদের একেবারে চিরচেনা ছন্দেই ছিল না দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। অবশেষে শিরোপা খরা কাটিয়েছে শ্রেয়াস আইয়ারের দল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ১০ বছর পর আইপিএলে তৃতীয় শিরোপা জিতলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত কেকেয়ারের কাছে পাত্তাই পায়নি হায়দরাবাদ।

চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১০.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখেই শিরোপা নিশ্চিত করে কলকাতা।

ফাইনালের মহারণে কলকাতার জয়ের নায়ক যারা:

১. মিচেল স্টার্কের প্রথম স্পেল: প্রথম কোয়ালিফায়ারের মতো ফাইনালেও প্রথম স্পেলে আগুন ঝরালেন স্টার্ক। প্রথম ওভারেই অভিষেক শর্মাকে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে আউট করেন রাহুল ত্রিপাঠিকে। প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন স্টার্ক। তাতেই কেকেআরের জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়।

২. আন্দ্রে রাসেলের বোলিং: স্টার্ক শুরুটা করলে শেষটা করেন আন্দ্রে রাসেল। বল করতে এসে প্রথম ওভারেই এইডেন মার্করামকে আউট করেন তিনি। পরের ওভারে আউট করেন আব্দুল সামাদকে। শেষ করেন প্যাট কামিন্সের উইকেট দিয়ে। ২.৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রাসেল। তার দাপটেই ১১৩ রানে অল আউট হয়ে যায় হায়দরাবাদ।

৩. দুর্দান্ত ফিল্ডিং: ফাইনালে পুরো ম্যাচ জুড়ে খুব ভালো ফিল্ডিং করেছেন কেকেআরের ক্রিকেটারেরা। ৩০ গজ বৃত্তের ভিতরেই হোক, বা বাউন্ডারিতে, সব জায়গায় রান বাঁচান ফিল্ডারেরা। ভালো কিছু ক্যাচ ধরেন তারা। ভালো ফিল্ডিংয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ।

৪. শ্রেয়াস আইয়ারের অধিনায়কত্ব: আরও একটি ম্যাচে দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করেন শ্রেয়াস আইয়ার। টস হারা ছাড়া কিছু ভুল করেননি তিনি। পেসারেরা ভালো বল করছেন দেখে দলের সব থেকে ভালো বোলার বরুণ চক্রবর্তীকে মাত্র ২ ওভার বল করান শ্রেয়াস। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নাম নয়, কাজের উপর গুরুত্ব দিতে হয়।

৫. ভেঙ্কটেশের আইয়ারে ব্যাটিং: ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন সুনীল নারাইন। আরও একটি উইকেট পড়লে চাপ পড়ত কেকেআর। কিন্তু বেঙ্কটেশ আইয়ার তা হতে দিলেন না। ব্যাটিংয়ে নামার পর থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন। ২৬ বলে ৫২ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply