মাসুদুজ্জামান রবিন:
শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও গোয়েন্দা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযানে নামবে বলে জানিয়েছেন টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেছেন, এসব মোবাইল ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) টেলিকম ও টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (টিআরএনবি) আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শুল্ক পরিশোধ করে মোবাইলফোন আমদানি করা হলে, তার তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেজে সংরক্ষিত থাকবে। ফলে অভিযানের সময় রিয়েল টাইম যাচাই করা যাবে। এ সময় অবৈধ হ্যান্ডসেট শনাক্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও কাজ করবে বলে জানান তিনি।
সেমিনারে মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতারা বলেন, করের চাপে এই খাতটি জর্জরিত। প্রতিবছর গ্রে মার্কেটের কারণে ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। বর্তমানে ৪০ শতাংশ বাজার অবৈধ মোবাইল দখল করে আছে। এমন অবস্তাহ চলতে থাকলে বর্তমানে চালু থাকা ১৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনবে। এ সময় বক্তারা গ্রাহকের কাছে সিম লক পদ্ধতিতে কিস্তিতে হ্যান্ডসেট বিক্রির সুযোগ দেয়ারও পরামর্শ দেন।
মোবাইল ফোন ইন্ডাষ্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, গ্রে মার্কেটের দৌরাত্মের কারণে সক্ষমতা অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে কর্মী ছাটাই ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।
বিটিআরসির চেয়্যারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন উদাহরণ দিয়ে বলেন, বৈধভাবে নামি কোম্পানির একটি মডেলের ২০ হাজার মোবাইল ফোন সিস্টেমে এন্ট্রি করা আছে। এটি মোট সংখ্যার ১ শতাংশ। সুতরাং মাত্র ১ শতাংশ মোবাইল ফোনের ট্যাক্স পাচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, একটি আইএমই নাম্বার দিয়ে পঞ্চাশটির মতো নকল ফোন তৈরি করছে প্রতারকরা। পরে এই মোবাইলগুলো বিক্রির মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়গুলোকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে অবৈধ হ্যান্ডসেটের বাজার বন্ধে এনইআইআর প্রযুক্তি শতভাগ কার্যকরের পরামর্শ মোবাইল অপারেটরদের।
রবি চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স মো. শাহেদুল আলম বলেন, এনইআইআর প্রযুক্তি প্রস্তুত রয়েছে। এটির ব্যবহারে একটি সহজ পদ্ধতিতে যাওয়া উচিত। এটি না করা গেলে গ্রে হ্যান্ডসেটের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে দেশি ও বিদেশি মিলিয়ে মোট ১৭টি কোম্পানি হ্যান্ডসেট তৈরি করছে।
/আরএইচ
Leave a reply