ভাঙ্গা (ফরিদপুর) করেসপনডেন্ট:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাটে গরুর ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুই দফা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে বাবনাতলা হাটে পীরেরচর গ্রামের একটা গরুর ছবি মোবাইলে ধারণ করে গঙ্গাদরদী গ্রামের আরিফ মুন্সী। ওই সময় চৌকিঘাটা গ্রামের নিরব বিশ্বাস ছবি তুলতে নিষেধ করে। এই নিয়ে চৌকিঘাটা ও গঙ্গাদরদী গ্রামের কয়েকজনের সাথে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় চৌকিঘাটা গ্রামের নিরব ও আরিফ বিশ্বাসসহ ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়।
আরও জানা যায়, হাটের মারামারি সূত্র ধরে শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে চৌকিঘাটা গ্রামের পলাশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন তরুণ ঘারুয়া বাজারে লালন মোড়ল নামের দন্তচিকিৎসকের দোকানে ঢুকে তাদেরকে মারধর করে। এতে চিকিৎসক লালন মোড়ল ও সম্রাট মোড়লসহ কয়েকজন আহত হয়।
গঙ্গাদরদী গ্রামের দন্তচিকিৎসক লালন মোড়লকে মারধরের সংবাদ গঙ্গাদরদী ছড়িয়ে পড়লে ওই গ্রামের লোকজন একত্র হয়ে দেশীয় অস্ত্র, ডাল, সুরকি, টেটাঁ, কাতরা নিয়ে চৌকিঘাটা গ্রামে হামলার জন্য রওনা হয়। তবে সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানার পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। এতে বড় ধরনের সংঘাত থেকে রক্ষা পায় এলাকাবাসী।
বিষয়টি নিয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন আল ইসলাম জানান, ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একপক্ষ উত্তেজিত হয়েছিল। তবে বড় কোনো সংঘর্ষ হয়নি। এখনও কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
/এনকে
Leave a reply