কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধস ও দেয়ালধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরনার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এর আগে বুধবার (১৯ জুন) ভোরে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহত দশজনের মধ্যে আটজন রোহিঙ্গা ও দুইজন স্থানীয় বাসিন্দা। এরমধ্যে একজন স্কুলছাত্র রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ১ নম্বর ক্যাম্পে ১ জন, ৮ নম্বর ক্যাম্পে ১ জন, ৯ নম্বর ক্যাম্পে ৩ জন, ১০ নম্বর ক্যাম্পে ৪ জন ও ১৪ নম্বর ক্যাম্পে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১০ নম্বর ক্যাম্পে নিহতরা হলেন, ব্লক ১০ এর আবুল কালামের ছেলে আবু মেহের (২৫), লাল মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৫৭), মতিউর রহমানের মেয়ে সলিমা খাতুন (৪২), শরিফ হোসেনের মেয়ে জয়নব বিবি (১৯)।
৯ নম্বর ক্যাম্পে নিহতরা হলেন, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার আলী জহুরের ছেলে মো. হোসেন আহমেদ (৫০), ওই ক্যাম্পের আই ৪ ব্লকের আলী জোহারের মেয়ে আনোয়ারা বেগম (১৮) ও আই ৯ ব্লকের মো. জামালের ছেলে মো. সালমান (৩)। ৮ নম্বর ক্যাম্পে নিহত হন, বি-৮২ ব্লকের মো. হারেজের ছেলে মো. হারেজ (৪)।
১৪ নম্বর ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় নিহত হন উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী শাহ আলমের ছেলে আব্দুল করিম (১২)। আবদুল করিম থাইংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্র। ১ নম্বর ক্যাম্পে দেয়াল চাপায় নিহত হন এফ/৫ ব্লকের সুলতান আহমদের মেয়ে পুতনী বেগম (৩৪)।
উখিয়া ৮ নং ক্যাম্পের এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, বুধবার ভোরে উখিয়া উপজেলার পালংখালীতে পাহাড় ধসের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের বেশ কয়েকটি ঘর মাটি চাপা পড়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, এপিবিএন পুলিশসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে।
উদ্ধার তৎপরতা শেষ হয়েছে জানিয়ে শরনার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার জানান, ক্যাম্পে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী পাঁচশত পরিবারকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরও কেউ ঝুঁকিপূর্ণ আছে কিনা দেখা হচ্ছে। তাদেরও সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।
/এমএইচ
Leave a reply