কোপা আমেরিকার ফাইনালে প্রথমার্ধে পাওয়া চোট যে পুরো ম্যাচজুড়েই ভোগাবে মেসিকে, সেটার আঁচ তখনই পাওয়া যাচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আর খেলাই চালিয়ে যেতে পারলেন না লিওনেল মেসি। চোখের জলে মাঠ ছেড়ে বেঞ্চে বসেও কাঁদতে দেখা গেল আর্জেন্টাইন প্রাণভোমড়াকে। ক্যামেরায় দেখা গেছে, ডান পা বেশ বাজেভাবেই ফুলে গিয়েছে তার। শেষ পর্যন্ত অবশ্য শিরোপা উঠেছে মেসির হাতে। ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি বলছেন, পায়ের এমন হাল নিয়েও খেলা চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মেসি!
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের প্রথমার্ধে ডান পায়ে চোট পেয়েছিলেন মেসি। প্রতিপক্ষের ফুটবলার সান্তিয়াগো আরিয়াসের সঙ্গে সংঘর্ষে পায়ে আঘাত পান। তখনই মাটিতে পড়ে যান মেসি। দলের চিকিৎসকদের প্রাথমিক শুশ্রূষার পর উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু পায়ের চোট যে তখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৪ মিনিটে হঠাৎ ব্যথায় কাতর মেসিকে মাঠে বসে পড়তে হয়। এর মিনিট দুয়েক পর তাকে তুলে নিয়ে নিকোলাস গঞ্জালেজকে মাঠে নামান স্কালোনি।
পরে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির ডান পায়ের অ্যাঙ্কেল ফুলে খুবই বাজে অবস্থা। সেটি নিয়ে ডাগআউটে বসে অঝোরে কাঁদতে থাকেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। মাঠ ছাড়ার সময়ও তার চোখ দিয়ে অনবরত জল গড়িয়ে পড়তে থাকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনা কোচ জানান, ওই অবস্থায়ও দলের সঙ্গে মাঠে থাকতে চেয়েছিলেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’র জয়ী মহাতারকা।
স্কালোনি বলেন, লিওর মাঝে এমন কিছু আছে, যা সবার থাকা উচিত। সে ইতিহাসের সেরা এবং অ্যাঙ্কেলের এই অবস্থা নিয়েও সে মাঠ ছেড়ে যেতে চাইছিল না। বিষয়টা এমন না যে, সে স্বার্থপর। (সে যেতে চায়নি) কারণ সতীর্থদের হতাশ করে একা ছেড়ে দিতে চায়নি। মাঠে থাকার জন্যই তার জন্ম হয়েছে।
মেসির চোটের মাত্রা অবশ্য জানা যায়নি। আর্জেন্টিনার আপাতত খেলা না থাকায় তার চোট মূলত ইন্টার মায়ামির জন্য চিন্তার কারণ। আন্তর্জাতিক বিরতিতে আসার আগে চলতি লিগে ১২ ম্যাচে ১২ গোল ও ৯ অ্যাসিস্ট করে মায়ামিকে এগিয়ে নেয়ার বড় কারিগর যে ছিলেন মেসিই।
/আরআইএম
Leave a reply