‘যারা গণহত্যায় লিপ্ত তাদের অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়া উচিত না, বয়কট ইসরায়েল’

|

শুরু হচ্ছে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। এরই মধ্যে প্যারিসের রাস্তায় নেমে পড়েছে ফিলিস্থিনপন্থী সমর্থকরা। ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিভিন্ন রকম ব্যানার ফেস্টুন ও স্লোগানে মুখরিত প্যারিসের অলিগলি ও রাজপথ। অলিম্পিক শুরুর আগে এমন বিক্ষোভ চাপ বাড়াচ্ছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিতে।

বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগেরই ব্যানারে ফেঞ্চ ভাষায় লেখা ‘যারা গণহত্যায় লিপ্ত তাদের অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়া উচিত না, বয়কট ইসরায়েল’। ফ্রি পালেস্টাইন। অনেক বিক্ষোভকারীদের দেখা যায় অলিম্পিক রিংকে সামনে রেখে শিশু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে।

প্রো প্যালেস্টেনিয়ান অর্গানাইজেশনের সদস্য এলেনা গুয়েরা বলেন, আমরা বিক্ষোভের মাধ্যমে অলিম্পিক উদযাপন করছি। আমরা চাই ইসরায়েলের অলিম্পিক অংশগ্রহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। এটা সরাসরি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। তাই রাশিয়ার মতো ইসরায়েলিদেরও অলিম্পিকে অংশগ্রহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হোক।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, অলিম্পিক শান্তির পতাকা বহন করে অপরদিকে ইসরায়েল গনহত্যায় লিপ্ত। ইসরায়েলিদের কেবলমাত্র একটি শর্তে অংশগ্রহন করা উচিত যদি তারা কোন প্রকার পতাকা ব্যতীত নিরপেক্ষ ভাবে অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহন করে।

এদিকে ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের নিরাপত্তা ও অংশগ্রহনের ব্যাপারে ফরাসী কর্তৃপক্ষের পূর্ণ সমর্থন পাবেন মনে করছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান থমাস বাখ। তিনি বলেন, ফ্রেঞ্চ কর্তৃপক্ষের উপর আমাদের পূর্ন আস্থা আছে। আমরা আশা করছি তারা ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেবে। পেশাদার হওয়ায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত তারা।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে অলিম্পিক গেমসে ফরাসী পুলিশ ও বিভিন্ন নিরাপত্তাদানকারী সংস্থা কাজ করছে। তাই ক্রীড়াবীদদের অংশগ্রহন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কোয়ালিফাই না করলেও ফিলিস্তিনের অ্যাথলেটদের অংশগ্রহনের সুযোগ সবার সমধিকার নিশ্চিত করবে মানছেন আইওসি প্রধান।

থমাস বাখ বলেন, অলিম্পিক গেমস দুই দেশের লড়াই না। বরং অ্যাথলেটদের লড়াই। ফিলিস্তিনিদের জন্য এনওসি সুবিধাজনক। ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সদস্য না হলেও এনওসির মাধ্যমে অন্যান্য দেশের অলিম্পিক কমিটির মতো তাদের সমঅধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রতিদিনই বিশ্বের কোথাও না কোথাও ফিলিস্তিনে গনহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে মানুষ। অলিম্পিক শুরুর আগে ভিন্ন মতাদর্শী বিভিন্ন দেশের মানুষের ইসরায়েলী গনহত্যার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ নিশ্চিতভাবে বাড়তি চাপ তৈরি করেছে।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply