বিশ্বকাপে নিউইয়র্ক ও ত্রিনিদাদের পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ রেটিং দিল আইসিসি

|

ছবি: সংগৃহীত

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে উইকেট তৈরির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ভেন্যু নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও ত্রিনিদাদের ব্রায়েন লারা স্টেডিয়ামের পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ রেটিং দিয়েছে আইসিসি। নাসাউতে দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলঙ্কা আর ভারত-আয়ারল্যান্ড ম্যাচের উইকেট নিয়ে অসন্তুষ্ট আইসিসি। আর ব্রায়েন লারা স্টেয়িামের সেমিফাইনালে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয়েছিলো আফগানিস্তান।

বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করার জন্য মাত্র ৫ মাসের মধ্যে তৈরী করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এত দ্রুত সময়ে স্টেডিয়াম নির্মান করায় প্রসংসা কুড়ায় কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে অস্থায়ী এই স্টেডিয়ামের সুযোগ সুবিধা ও সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। কিন্তু এই সৌন্দর্যের মাঝেই ছিলো সুভঙ্করের ফাঁকি।

সঙ্গত কারণে এতো অল্প সময়ে এখানে পিচ তৈরী করার সুযোগ ছিলো না। তাইতো উইকেট তৈরী করা হয় সুদুর অস্ট্রেলিয়ায়। অ্যাডিলেইড ওভালের প্রধান পিচ কিউরেটর ডামিয়ান হফ নাসাউ গ্রাউন্ডের জন্য ৪টি আর অনুশীলনের জন্য ৬টি সহ মোট ১০টি উইকেট তৈরী করেন। সেগুলো আবার জাহাজে করে ১৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে এসে পৌঁছায় নিউইয়র্কে। উইকেটগুলোকে ব্যাটিং সহায়ক করার চেষ্টা হলেও হয়েছে উল্টো। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটারদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছিলো নাসাউয়ের এই পিচগুলো।

নিউইয়র্কের এই ভেন্যুতে হওয়া ৮ ম্যাচে গড় রান ছিল মাত্র ১০৮। ১৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিলো ১৩৭। এই মাঠে হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা–শ্রীলঙ্কা, আর ভারত ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যেকার হওয়া পিচকে অসন্তোষজনক রেটিং দিয়েছে আইসিসি। তবে অবাক করার বিষয় সেটা টুর্নামেন্ট শেষ হবার ৫২ দিন পর!

দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়েছিলো শ্রীলঙ্কা। আর ভারতের সাথে ৯৭ রান করেছিলো আয়ারল্যান্ড। নিউইয়র্কের এই স্টেডিয়ামের উইকেটকে ‘বিপজ্জনক’, ‘জঘন্য বলেছিলেন ধারাভাস্যকাররা।

এছাড়াও ক্যারিবিয়ানদের ত্রিনিদাদের ব্রায়ানা লারা স্টেডিয়ামের একটি পিচকেও অসন্তোষজনক রেটিং দিয়েছে আইসিসি।এই ভেন্যুতে ২৬ জুন প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। এই পিচের আচরণ ছিল অস্বাভাবিক। একই লেংথের বল কখনও পেয়েছে বড় বাউন্স আবার কখনও গেছে হাঁটুর নিচ দিয়ে। ম্যাচ শেষে আফগানিস্তান কোচ জোনাথন ট্রট উইকেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply