সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রতিনিধি:
ভারতের অঙ্গ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপি উভয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কদের সমর্থনে পাস হলো ‘অপরাজিতা’ নারী ও শিশু সুরক্ষা বিল। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সর্বসম্মতিক্রমে বিধানসভায় পাশ করা হয় ধর্ষণ বিরোধী এই বিল।
বিলটি পেশ করেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। পশ্চিমবঙ্গে নারী ধর্ষণ, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়ে চলায় অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিধানসভায় ২ দিনের বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেয়া হয়েছিল। বিল পেশের পর আলোচনা শেষে বিরোধীরা সমর্থন করায় সর্বসম্মতিক্রমে তা পাশ হয়ে যায়।
তবে বিলের বেশকিছু সংশোধনী চেয়ে বিধানসভায় সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংশোধনী খারিজ হওয়ায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শুভেন্দুসহ বিজেপির বিধায়কেরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা বিধানসভা কক্ষ। বিধানসভার ভেতরেই ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ স্লোগান দিয়ে হট্টগোল শুরু করেন তারা। ধমকের সুরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের থামিয়ে দেন।
অপরাজিতা বিলের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় লজ্জা। তার পদত্যাগ চাই। তিনি দেশের মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। আমরা সব ঘটনারই তীব্র নিন্দা করছি ও ধিক্কার জানাচ্ছি। কিন্তু মোদি ও অমিত শাহ মিলে দেশের নারীদের সম্মান ও সুরক্ষায় কিছুই করতে পারেননি। তাই আমরা নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ চাই, অমিত শাহেরও পদত্যাগ চাই।
মমতা সরকারের পেশ করা বিলটি বিধানসভায় অনুমোদিত হওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি বি আনন্দ বোসের কাছে পাঠানো হয়েছে বিলে স্বাক্ষর ও অনুমতির জন্য। আইন অনুযায়ী রাজ্যপাল ওই বিলে সম্মতি দিলে তবেই সেটা দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলের সম্মতি দিলে তবেই ঐ বিল আইনে পরিণত হবে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে।
/এএম
Leave a reply