ভারতের মহারাষ্ট্রের ব্রাহ্মপুরীতে এক বাঘিনী মানুষখেকো হয়ে গেছে। গত আড়াই মাসে তার শিকার হয়েছে ২ জন। আহত হয়েছে আরো ১৪ জন। ধরতে না পেরে সেই বাঘিনীকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে মুম্বাইয়ের আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলেন, গুলি করে হত্যা করার চেয়ে ট্রাঙ্কুলাইজ করে তাকে আটকের ব্যবস্থা করা ভালো।
মানুষের ওপর আক্রমন করায় গত ১০ জুলাই নাগপুরের দক্ষিণ ব্রাহ্মপুরী থেকে আটক করা হয়। এরপরই প্রশ্ন উঠে এই বাঘিনীকে ভাগ্য কি হবে, কারণ এর মানুষখেকো চরিত্রের জন্য একে খাচায় আটকে রাখা হবে নাকি ছেড়ে দেয়া হবে, ছেড়ে দেয়া হলে কোথায় ছেড়ে দেয়া হবে। এরপর অনেক বির্তকের পর রাজ্য কর্তৃক গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তে ২৯ জুলাই ওয়ারদা জেলার বর বাঘ সংরক্ষিত এলাকায় ছেড়ে দেয়া হয়। ট্র্যাক করার জন্য গলায় রেডিও কলার লাগিয়ে দেয়া হয়। সেই ট্র্যাকারেই দেখা যায় ছাড়া পাওয়ার পর ৭৬ দিনে ৫০০ কি.মি পথ পাড়ি দিয়েছে সে। আর এই পথে পথে তার শিকারে পরিণত হয় অসংখ্য মানুষ।
সংরক্ষণবিদ উদয় প্যাটেল বলেন, একটি রেডিও কলার লাগানো বাঘিনীকে যদি প্রশিক্ষিত দল ট্রাঙ্কুলাইজ না করতে পারে তাহলে বোঝাই যাচ্ছে অন্যসব প্রাণীদের ক্ষেত্রে কি হয়। আমরা মনে করি এই বাঘিনী কর্তৃক মানুষের মৃত্যু একটি দুর্ঘটনা। গুলি করে হত্যা নয় ট্রাঙ্কুলাইজই একমাত্র উপায়।
অপর দিকে নওয়াব আলী খান যিনি একজন দক্ষ শিকারী তিনি বলেন, বাঘিনী অবস্থান জানা গেলেও সেখানে পৌছানো কঠিন এবং ট্রাঙ্কুলাইজার ব্যবহার করাও সম্ভব না, কারণ ৩২ মিটারের বেশি ও রাতে ট্রাঙ্কুলাইজার ব্যবহার করা যায় না। এছাড়া বাঘটি পানির কাছে রয়েছে সেখানে ট্রাঙ্কুলাইজারের ডার্ট ছোড়া অন্যান্য প্রাণীর জন্য বিপথজনক। অন্যদিকে যেকোন বাধা ছাড়াই ২০০ মিটারের মধ্যে কোন প্রাণীকে আমরা গুলি করতে পারি।
জীবিত হোক বা মৃত, এই বাঘিনী ধরা না পড়া পর্যন্ত চরম আতঙ্কে রয়েছে মহারাষ্ট্রের মানুষগুলো।
টিবিজেড/
Leave a reply