ফরিদপুর করেসপনডেন্ট :
ফরিদপুরের সালথায় আয়েশা বেগম (২০) নামে এক গর্ভবতী নারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও পেটে লাথি মারায় রক্তক্ষরণের পর মৃত নবজাতক প্রসবের অভিযোগ করেছেন ওই নারীর পরিবার। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরিফা ওই গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর মাতুব্বরের মেয়ে ও পাশের রামকান্তপুর ইউনিয়নের বাহিরদিয়া গ্রামের শওকত মোল্যার স্ত্রী। আরিফার পরিবারের সাথে কথা হলে তারা এসব তথ্য জানান।
আরিফার পরিবারের বরাত দিয়ে সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গোপালিয়া গ্রামের মুদি দোকানি ইয়ার আলী শেখ। তার মৃত্যুর পর গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান আসামিপক্ষের লোকজন। এই সুযোগে আসামিপক্ষের লোকজনের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আসছে বাদিপক্ষ।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে আরিফার বাবা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে হামলা করতে আসে বাদিপক্ষের লোকজন। তখন আরিফা বাধা দেন। এ সময় হামলাকারীদের একজন তার গলা টিপে ধরে পেটে লাথি মারেন। এতে আরিফার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেয়া হয়। একপর্যায়ে বাবার বাড়িতেই মৃত সন্তানের জন্ম দেন আরিফা। খবর পেয়ে আশপাশের গ্রামের লোকজন এসে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে আরিফাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, বাদীপক্ষের গ্রাম্যদল নেতা মো. আইয়ুব আলী মাস্টার বলেন, আরিফাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। এমনিতেই তার গর্ভপাত হয়েছে। এটাকে পুঁজি করে আসামিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা কয়রা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সালথা থানার ওসি মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই গ্রামে একটি মার্ডার হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
/এএস
Leave a reply