এক ম্যাচে ৯টি গোল! তাও আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে। প্রথম-প্রথম শুনতে অবাক লাগলে-ও সত্যিই এমনটা হয়েছে। অনেকেই গ্রুপ পর্বের খেলা মনে করে হয়তো খেলাটি সরাসরি মিস করেছে। তাদের জন্য সকাল অনেকটা সারপ্রাইজ ছাড়া আর কিছুই নয়।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে এক ম্যাচে ৯টি গোলের ইতিহাস গড়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রতিপক্ষ দিনামো জাগরেব। অবশ্য, ক্রোয়েশিয়া ক্লাবটি বাভারিয়ানদের বিপক্ষে গোল শোধ করেছে মাত্র দু’টি। সব মিলিয়ে ১১ গোল!
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোনো ম্যাচে ২য় সর্বোচ্চ গোল। পূর্বে, ২০০৩ সালে, ১১ গোল দেখার সুযোগ হয়েছিলো মোনাকো ও দিপার্তিভো লা করুনার ম্যাচে। সেই ম্যাচে, ৮–৩ গোলে জিতে মোনাকো। তবে, এই তালিকায় সবার ওপরে আছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লেগিয়া ওয়ারশর ম্যাচটি। ২০১৬ সালের ম্যাচটিতে, ১২ গোলের মধ্যে, ৮ গোল করেছিল ডর্টমুন্ড।
এদিকে, ব্রিটিশ তারকা হ্যারি কেইন-ও গড়েছেন রেকর্ড। এই স্ট্রাইকার একাই করেছেন ৪টি গোল। ফলে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যারি কেইনের গোলসংখ্যা হয়েছে মোট ৩৩টি।
৪৫ ম্যাচ খেলে এই গোলগুলো করেছেন এই ব্রিটিশ ফরোয়ার্ড। এর মাধ্যমে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন তারই ইংল্যান্ড সতীর্থ ওয়েন রুনিকে। তার গোল সংখ্যা ৩০টি। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা ইংলিশ ফুটবলার এখন কেইন।
২০২৩ সালের দলবদলে, টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেয়ার পর থেকে ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫০ ম্যাচে ৫৩ গোল করলেন কেইন, যার ১২টি চ্যাম্পিয়নস লিগে।
এছাড়াও, চলতি মৌসুমে বায়ার্নের জার্সিতে ছয় ম্যাচে আটটি গোল করলেন ৩১ বছর বয়সী এই ইংলিশ তারকা। আর জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে গত তিন ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৯টি।
এছাড়া, ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে মাঠে নেমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বিরল এক কীর্তি গড়েন থমাস মুলার। এই ম্যাচ দিয়ে ইউরোপ-সেরার এই আসরে, ১৫২তম মাচে মাঠে নামেন ৩৫ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
এর ফলে, বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জাভিকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার এখন তিনি।
এবার আসা যাক খেলায়। ম্যাচের ১৯ মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কেইন। এরপর রাফায়েল গেরেরো ও মাইকেল অলিসের গোলে প্রথমার্ধে ৩ গোলে এগিয়ে যাক বায়ার্ন।
৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু করেই দুই মিনিটে দুটি গোল পরিশোধ করে দারুণভাবে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল দিনামো জাগরেব। তবে এরপরই বায়ার্ন মিউনিখের কাছে আর পাত্তাই পায়নি দলটি।
এরপর ম্যাচের ৮৫ মিনিটে গোল করে স্কোর শিটে নাম লেখান লেরয় সানে। ৯০ মিনিট শেষ হবার পর শেষ গোলটি করেন লেয়ন গোরেৎসকা। তবে একাধিক গোল বাতিল না হলে জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত।
/এআই
Leave a reply