স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর:
গাজীপুরে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এরই জেরে গাজীপুর মহানগরে চারটি পোশাক কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
শ্রমিকরা জানান, বিভিন্ন দাবিতে কয়েক দিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছেন। এ সময় কিছু কারখানার মালিকপক্ষ থেকে শ্রমিকদের দাবি মেনেও নিয়েছেন। কিন্তু যে সমস্ত পোশাক কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে কারখানা বন্ধ করে রেখেছে বা শ্রমিকদের দাবি মেনে নিচ্ছে না, সেসব পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। দিনব্যাপী কর্মবিরতিও করছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে টঙ্গীর সাতাইশ রোড এলাকায় এস.আর.পি লিমিটেড কারখানার প্রায় দুইশ শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পরে, শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তাদের কাজে যোগদান করতে বলা হলে তারা আগস্ট মাসের বেতন ভাতার দাবি করেন। পরে পুলিশ মালিকপক্ষের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে দুপুর তিনটার দিকে কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান করেন।
সকাল ৮টা থেকে টঙ্গীর বিসিক এলাকার এ্যামটারনেট গ্রুপ লি.-এর ৩ হাজার শ্রমিক কারখানায় প্রবেশ করে কর্মবিরতি পালন করেন। গত বুধবার সকাল থেকে বেতনভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করলে সেনাবাহিনীর সদস্য মালিক পক্ষের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে কর্মস্থলে যোগ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বেতন না দিলে পোশাক শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি করে বাসায় চলে যান শ্রমিকরা।
এদিকে, পাগার শিশির নিটিং এন্ড ডাইং লি.-এর ১২শ শ্রমিক কর্মবিরতি পালন করেন। তাছাড়াও, টঙ্গীর খাঁ পাড়া এলাকায় ১৪শ শ্রমিক বেতন ভাতার দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে কর্মস্থলে যোগদান করান।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীতে চারটি পোশাক কারখানার উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। দুপুরের পরপরই সব ঠিকঠাক হয়ে যায়। তবে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে বলেও জাানান তিনি।
/এনকে
Leave a reply