আজ বিরামচিহ্ন দিবস?

|

হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তার তৈল প্রবন্ধে লিখেছেন, তৈল যে কি পদার্থ, তাহা সংস্কৃত কবিরা কতক বুঝিয়াছিলেন। তাহাদের মতে তৈলের অপর নাম স্নেহ। বাস্তবিকও স্নেহ ও তৈল একই পদার্থ। আমি তোমায় স্নেহ করি, তুমি আমায় স্নেহ কর অর্থাৎ আমরা পরস্পরকে তৈল দিয়া থাকি । স্নেহ কি? যাহা স্নিগ্ধ বা ঠান্ডা করে , তাহার নাম স্নেহ। তৈলের ন্যায় ঠাণ্ডা করিতে আর কিসে পারে ?

যদি এই লেখাগুলোকে বিরাম চিহ্ন ছাড়া কিংবা ভুল জায়গায় চিহ্ন দেয়া হয়, তাহলে বাক্যের অর্থ পাল্টে যাবে পুরোপুরি। যেমন: আমি তোমায় স্নেহ করি, তুমি আমায় স্নেহ কর? মানে? আমরা পরস্পরকে তৈল দিয়া থাকি?

আবার ধরা যাক, ‘এখানে ময়লা ফেলবেন, না ফেললে ৫০০ টাকা জরিমানা’। আর যদি লেখা হয়, ‘এখানে প্রস্রাব করিবেন না, করিলে ৫০ টাকা জরিমানা’ তাহলে দুই ধরনের অর্থ দাঁড়ায়।

আবার বলা হলো এখানে দাঁড়াবেন, না দাঁড়ালে শাস্তি পেতে হবে। অথবা, আজ ক্লাস হবে না। কিংবা, আজ ক্লাস হবে না? মানে, সামান্য প্রশ্নবোধক চিহ্নের কারণে অর্থ বদলে যেতে পারে পুরোপুরি।

আজ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪। বিরামচিহ্ন দিবস। ২০০৪ সালে, দিনটির প্রচলন করেন যুক্তরাষ্ট্রের পেশাদার বক্তা জেফ রুবিন। আজকের এই দিনে, বাক্য লিখার ক্ষেত্রে নেয়া যেতে পারে একটু বেশি সাবধানতা।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply