এবার উত্তেজনা ছড়ালো ফ্রান্স-ইসরায়েল সম্পর্কে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সাথে বাগযুদ্ধে জড়ালেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজা ও লেবাননে হত্যাযজ্ঞ বন্ধে তেলআবিবকে অস্ত্র সরবরাহ না করার দাবি সরব হয়েছেন ম্যাকরন। আর তাতেই চটেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। ফরাসি প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে অপমানজনক আখ্যা দিয়ে করেছেন সমালোচনা।
এক বছর ধরে গাজায় আগ্রাসন চালালেও, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশের সমর্থন পেয়ে আসছে ইসরায়েল। মুখে যুদ্ধবিরতির কথা বললেও, বেশকিছু দেশ অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলকে উল্টো সহায়তা করছে।
পশ্চিমাদের এমন দ্বিচারিতা এরইমধ্যে হচ্ছে বেশ সমালোচিত। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। তার দাবি, ইসরায়েলকে অস্ত্র দেয়া বন্ধ না করলে গাজা ও লেবাননে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে আমি এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলেছিলাম। তা নিয়ে ইসরায়েল ও লেবাননের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনাও করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, নেতানিয়াহু লেবাননে স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত নিলেন। আমরা যদি যুদ্ধবিরতি চাই তবে সেটি ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখে সম্ভব নয়। তাই তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা উচিত।
মিত্র দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের এমন বক্তব্যকে অবশ্য ভালোভাবে নেয়নি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ম্যাকরনের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বানকে অপমানজনক আখ্যা দিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছেন তিনি।
ম্যাকরনের কথার জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল যেহেতু ইরানের নেতৃত্ব দেয়া সকল বর্বরতার বিরুদ্ধে লড়ছে, তাই সব সভ্য দেশেরই উচিত তেলআবিবের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন এবং অন্যান্য নেতারা আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাচ্ছে। তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই। যারা সন্ত্রাস চায় না তারাই আবার ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দ্বিমুখী আচরণ করছে।
যদিও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহকারী শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় নেই ফ্রান্স। গত বছর ইসরায়েলে মোট ৩৩ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রফতানি করেছে প্যারিস।
/এটিএম
Leave a reply