বিপিএল: আলোচনায় থেকেও দল পেলেন না যারা

|

ছবি: সংগৃহীত

শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। ড্রাফটে মোট ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে। তাদেরকে ভাগ করা হয়েছিল পাঁচটি ক্যাটাগরিতে। আর ১৮৮ জন স্থানীয় খেলোয়াড়কে ভাগ করা হয়েছিল ৬ ক্যাটাগরিতে। সেখান থেকে দল গঠনের কাজ এগিয়ে নিয়েছে বিপিএলের সাত ফ্রাঞ্চাইজি। এর আগেই অবশ্য তিনজন করে ক্রিকেটার সরাসরি চুক্তি অথবা ধরে রেখেছে তারা। যদিও এখনো সুযোগ আছে, চাইলে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো আরো ক্রিকেটার নিতে পারবে।

ড্রাফটে খুব বড় চমক নেই। তবে আলোচনায় থেকেও দল পাননি বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুমিনুাল হক সৌরভ, শুভাগত হোম চৌধুরী, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরা। রিশাদ হোসেন দল পেয়েছেন অনেক পরে। জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকেও দল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

গত বিপিএলে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। একটা সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরবর্তী তারকা হিসেবে উচ্চারিত হচ্ছিল মোসাদ্দেক নাম। এবার দলই পেলেন না তিনি। শুভাগত হোম চৌধুরীর ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। গত বছর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শুভাগত। স্পিন বোলিং পাশাপাশি ব্যটিংয়েও বেশ কার্যকারী শুভাগত ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্মার। কিন্তু ড্রাফট থেকে তাকে কিনেনি কোনো দল।

সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ গত বিপিএলেও দল পাননি। এবারও মুমিনুলকে নিলো না কোনো দল। অবশ্য গত আসরে ড্রাফট শেষে সরাসরি চুক্তিতে মুমিনুলকে দলে ভিড়িয়েছিল রংপুর রাইডার্স। যদিও এক ম্যাচের বেশি একাদশে ছিলেন না তিনি।

তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকেও দলে ডাকেনি কেউ। দল পাননি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু, ফজলে মাহমুদ রাব্বিও। অবশ্য বাদ পরাদের বিপিএল খেলার সম্ভবনা শেষ হয়ে যায়নি। সরাসওরি চুক্তিতে যেকোনো দলই নিতে পারবে ড্রাফটে দল না পাওয়া ক্রিকেটারদের।

সবকিছু ঠিক থাকলে এবারের বিপিএল মাঠে গড়ানোর কথা আগামী ২৭ ডিসেম্বর।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply