বাংলাদেশ সীমান্তে দাঁড়িয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সরব অমিত শাহ

|

সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা প্রতিনিধি:

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে দাঁড়িয়ে ফের অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সরব হলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গে দু’দিনের সফরে শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে কলকাতায় আসেন তিনি। রোববার দুপুরে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট, যাত্রী টার্মিনাল ট্রু ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন করেন অমিত শাহ। ওই অনুষ্ঠানেই রাজ্যের সীমান্ত অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হন অমিত।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলায় পরিবর্তন আনুন। অনুপ্রবেশ রুখবে বিজেপি। তিনি আরও বলেন, অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তের সুরক্ষা আরও বাড়ানো হচ্ছে।

২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে বিধানসভা কেন্দ্রতে উপনির্বাচন রয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রোববার রাজ্য সফরে এসে ফের রাজনৈতিক পরিবর্তনের ডাক দিলেন অমিত শাহ।

আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন ,ভালো দিন আর বেশি দূরে নেই। ২০২৬ থেকেই শুরু হয়ে যাবে ভালো দিন। সেই সঙ্গে তার বার্তা, কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না বাংলার মানুষ। কিন্তু আক্ষেপ করবেন না। ২০২৬ সালের ভোটে বিজেপি সরকার আসবে।

অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৫-৬ হাজার লোক এখানে আসেন চিকিৎসা নিতে। এতে অর্থনীতির উপকার হয়। কিন্তু অবৈধ আসা-যাওয়া হলে বাংলার শান্তি বিঘ্নিত হয়। ২৬ সালে পরিবর্তন করুন। এই অনুপ্রবেশ আটকে দেব। বাংলায় শান্তি ফিরবে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই। বাংলায় অশান্তির মূলে রয়েছে এই অনুপ্রবেশ। অনুপ্রবেশ বন্ধ হলে বাংলায় শান্তি ফিরবে। আর সেটা করতে পারে একমাত্র বিজেপিই।

এদিন কেন্দ্রীয় সরকারে বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগেরও জবাব দেন অমিত শাহ। রাজ্যের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর নরেন্দ্র মোদি বলে দাবি করে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি। ইউপিএ সরকারের সময়ের সাথে মোদির ১০ বছরে বাংলার জন্য বরাদ্দের হিসেবও দেন। ইউপিএ শাসনামল থেকে মোদি সরকার বাংলাকে বেশি টাকা দিয়েছে দাবি করে অমিত শাহ বলেন, ইউপিএ আমলের ১০ বছরে কেন্দ্র বাংলাকে দিয়েছিল ২ লাখ ৯ হাজার কোটি। কিন্তু ২০১৪ থেকে ২০২৪ এই ১০ বছরে মোদি সরকার বাংলাকে দিয়েছে ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। নরেন্দ্র মোদি সরকারের দেয়া টাকা ‘দুর্নীতি’-তেই চলে যায় বলে দাবি করেন অমিত শাহ।

উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বনগাঁর পেট্রাপোলে আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরের নতুন যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের আধুনিক টার্মিনালের উদ্বোধনের পর দুপুরে সল্টলেকের ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টারে অডিটোরিয়ামে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে সরকার গঠন করতে দলের সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে একাধিক বিজেপি সূত্রের খবরে। ধারণা করা হচ্ছে সেসব বিষয় নিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন আমিত শাহ।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply