মলদোভার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) পন্থী প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্ডু দেশটিতে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে, স্থানীয় সময় রোববার (৩ নভেম্বর) মলদোভার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটে রাশিয়ার ব্যাপক হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এরপরও বেশিরভাগ ভোট গণনা করে দেখা যায় স্যান্ডু জিতেছেন ৫৫ শতাংশ ভোট। উত্তেজনাপূর্ণ এই নির্বাচনের এই ফলাফল জানার পর আনঅফিসিয়ালি গভীর রাতে বক্তৃতা দেন তিনি। সমস্ত মলদোভানদের উদ্দেশে আবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
নির্বাচনে পশ্চিমাপন্থী ও বর্তমানে ক্ষমতাসীন মাইয়া সান্ডু দ্বিতীয় এবং চূড়ান্ত রাউন্ডের মুখোমুখি হচ্ছেন আলেকজান্ডার স্টোইয়ানোগ্লোর বিরুদ্ধে। স্টোইয়ানোগ্লো রাশিয়ানপন্থী সমাজতান্ত্রিক পার্টির সমর্থিত সাবেক প্রসিকিউটর জেনারেল।
তবে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাশিয়ার ‘ব্যাপক হস্তক্ষেপ’ হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে নির্বাচনী ফলাফল বিকৃত করার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া ইতিমধ্যে ভোটে হস্তক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। রাশিয়ানপন্থী হওয়ায় স্টোইয়ানোগ্লো-কে স্যান্ডু প্রসিকিউটর জেনারেল হিসাবে বরখাস্ত করেছিলেন। এরপর নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে স্টোইয়ানোগ্লো বলেছেন, তিনি ক্রেমলিনপন্থী নন।
গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মলদোভার প্রথম রাউন্ডের নির্বাচনে মাইয়া সান্ডু ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে প্রথম রাউন্ডে ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে সান্ডুর সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে টিকে আছেন স্টোইয়ানোগ্লো।
উল্লেখ্য, ৩০ লাখ জনসংখ্যার মলদোভা পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ। গত মাসের নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির জনগণ।
/এআই
Leave a reply