সব বিশ্বাসঘাতকদের নাম মুছে ফেলা হবে।
উত্তর প্রদেশের পর্যটন বই থেকে নাম বাদ পড়ার পর এবার নোংরা রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে টেনে আনা হলো বিশ্বখ্যাত তাজমহলকে। সংগীত সোম বলেছেন, এটি বিশ্বাসঘাতকদের দ্বারা নির্মিত এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে কলঙ্কের ছাপ। উত্তর প্রদেশের পর্যটন নির্দেশনা সম্বলিত বই থেকে তাজমহলের নাম বাদ পড়ায় উদ্বেগ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে।
রবিবার মিরাটে এক র্যালি শেষে বিজেপি এমপি সংগীত প্রশ্ন তোলেন, আমরা কোন ইতিহাস নিয়ে কথা বলছি? তাজমহল যে ব্যক্তি নির্মাণ করেছেন তিনি তার পিতাকে বন্দী করে রেখেছিলেন। তিনি হিন্দুদের বিনাশ করতে চেয়েছিলেন। এই যদি হয় ইতিহাস তবে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এই ইতিহাস পরিবর্তন করে ফেলবো, আমি নিশ্চিত করছি।
অবশ্য তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতা নলীন কোহলি তার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত পেষণ করে বলেছেন, তাজমহল আমাদের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ভারতের অত্যাশ্চর্যের অংশ। ইতিহাসে যা ঘটে গেছে তা মুছে ফেলা সম্ভব নয় তবে ইতিহাস যথার্থভাবে তুলে ধরা উচিত।
অবশ্য সংগীতের মতের সাথে সহমত পোষণ করছেন এমনও অনেক বিজেপি নেতা আছেন। দলটির এমপি অংশুল ভার্মা বলেছেন, তাজমহল নিছক পর্যটন কেন্দ্র একে ভারতের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত করা ঠিক হবে না।
সাম্প্রদায়িক প্ররোচণামূলক কথাবার্তার জন্য সংগীত সোম সমালোচিত। ২০১৩ সালে মুজাফফরনগরে সৃষ্ট দাঙ্গায় উস্কানি দেয়ার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়। সেই দাঙ্গায় অন্তত ৬০ জন মারা গিয়েছিল। বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল ১০ হাজারের অধিক মানুষকে।
মুঘল সম্রাট শাহজাহানের নির্দেশে তাজমহল নির্মিত হয়। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাজমহল পরিদর্শনে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসে। কিন্তু সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার একটি পর্যটন বই বের করে যেখান থেকে ১৭ শতকের এই স্থাপনা নিদর্শনটির নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, তাজমহল ভারতীয় সংস্কৃতিকে প্রতিফলন করে না বলে মন্তব্য করেছেন যোগী আদিত্যনাথ।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply