বরেণ্য রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হলো। সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় সৈয়দ আশরাফের প্রথম জানাজা।
এরপর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সৈয়দ আশরাফকে গার্ড অব অনার জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এদিকে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মরদেহ নেয়া হবে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। সেখানে বেলা ১২ টায় আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ময়মনসিংহে দুপুর দুইটায় তৃতীয় দফা জানাজা শেষে মরদেহ আনা হবে ঢাকায়। বাদ আসর বনানী কবরস্থানে হবে তার দাফন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ যোগ দিয়েছেন এই জানাজায়। অনেকে এসেছেন প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে।
২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই সৈয়দ আশরাফ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে তিনি গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। এ অবস্থায়ই একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হন সৈয়দ আশরাফ।
দেশে ফিরে শপথ নিতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হল না। অগণিত নেতাকর্মী আর শুভানুধ্যায়ীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন সবার প্রিয়ভাজন সৈয়দ আশরাফ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Leave a reply