আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল লোকসভায় পাসের পর উত্তাপ ছড়ালো আসামের রাজনীতিতে।
প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করলেন ‘আসাম গণ পরিষদ- এজিপি’র ৩ মন্ত্রী। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকেও সমর্থন উঠিয়ে নিয়েছে দলটি। ১২৬ আসনের বিধানসভায় দলটির বিধায়ক সংখ্যা ছিলো ১৪।
এরআগে বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বরাবর ইস্তফাপত্র জমা দেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী অতুল বোড়া, পানি সম্পদমন্ত্রী কেশভ মোহান্ত এবং খাদ্য মন্ত্রী ফণি ভূষণ চৌধুরী।
এজিপি’র প্রেসিডেন্ট অতুল বোড়া বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সর্বানন্দ সানওয়ালের রাজ্য ও নাগরিকদের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।কিন্তু, বিজেপি নেতা হওয়ার কারণে তিনি কেন্দ্রের স্বার্থকে উপরে রাখছেন। কিন্তু, মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা বা অসমীয়দের ফেলে দিতে পারে না, এজিপি। একারণেই, আমরা সরে দাঁড়ালাম। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও দেয়া হবে দাঁতভাঙ্গা জবাব।
এজিপি’র প্রেসিডেন্ট জানান, ভবিষ্যৎ কর্ম-পরিকল্পনার ব্যপারে শিগগিরই জানানো হবে। ১২৬ আসনের বিধানসভায় এজিপির বিধায়ক ১৪ জন।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ সেভেন সিস্টার্সের বাকি রাজ্যের স্থানীয় দলগুলোও। চলছে জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকিও।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বলেন,আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব বিল সংস্কারের বিরুদ্ধে আমরা। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবার চাপ প্রয়োগের পরও, বিল পাস থেকে সরেনি কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল। সুতরাং, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের ব্যাপারে খুব শিগগিরই রেজ্যুলেশন পাশ করতে যাচ্ছি আমরা।
সংশোধিত বিলের ফলে আসামে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের অ-মুসলিমরা ভারতের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। তবে, এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়া ৪০ লাখের বেশি মুসলিম বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে ফেরত যাবে নিজ দেশে।
Leave a reply