ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
পাম আবাদ করতে গিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে ঝিনাইদহ জেলার চাষিরা। প্রায় ৯/১০ বছর আগে লাগানো গাছ গুলোতে ফল আসছে শুরু করেছে সম্প্রতি। কিন্তু সে ফল কোথায় বিক্রি হবে তা জানা নেই চাষিদের। বিক্রি করতে না পেরে গাছেই নষ্ট হচ্ছে ফল। অন্যদিকে আবার চারা বিক্রির ‘তুর ডেভোলপমেন্ট’ কোম্পানীর অফিস ও কর্মাকর্তাদের কোন হদিস মিলছেনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৭/০৮ সালে শহরের ব্যাপারি পাড়ায় ‘তুর ডেভোলপমেন্ট’ নামের কোম্পানি অফিস খুলে বসেন। তারা মাঠ পর্যায়ে আকর্ষণীয় বেতন ভাতার প্রলোভন দেখিয়ে কর্মী নিয়োগ দেন। ব্যাপক ভাবে প্রচার এবং চারা বিক্রির জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষনও দেয়। এই কোম্পানী জেলা প্রশাসক পরিষদ, মৎস্য হ্যাচারি, পৌরসভা সহ কমপক্ষে ১০টি স্থানে বিনামূল্যে গাছের চারা রোপন করেন।
সদর উপজেলার বাজার গোপালপুরের আব্দুল লতিফ জানান, ২০০৭/৮ সালের দিকে প্রায় দু’বিঘা জমিতে সাড়ে ৩’শটি পাম গাছের চারা রোপন করি। তখন প্রায় ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়। গাছ গুলোতে গত কয়েক বছর ফল আসছে। কিন্তু কোথায় বিক্রি করতে হবে, কৃষি বিভাগে খোঁজ নিয়েও বিক্রির জায়গা পাচ্ছিনা। আবার যে কোম্পানীর কর্মীদের কথায় গাছ লাগিয়েছি তাদেরও কোন খোঁজ পাচ্ছিনা। অফিসও উধাও হয়ে গেছে।
‘তুর ডেভোলপমেন্ট’ কোম্পানীর প্রজেক্ট ম্যানেজার সালাউদ্দিন নামে কৃষকদের নিকট দেয়া ০১৯১১-১৯৯২৯৭ মোবাইল নম্বরে যোগযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহা. মোফাখারুল ইসলাম বলেন, পাম চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এর স্থলে অন্য ফসল আবাদ করলেও কৃষকরা ভাল লাভবান হতে পারবেন ।
Leave a reply