পরকীয়া করার অপরাধে সাজা সংক্রান্ত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটে আইনের ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
ফাইজুল্লাহ ফয়েজ নামে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী আজ সোমবার বিকালে রিটটি দায়ের করেন। এতে ৪৯৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনার আবেদনও রয়েছে।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি পরকীয়ার সাজা বৃদ্ধি এবং দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার সংশোধন চেয়ে আইনমন্ত্রীসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওই নোটিশে পরকীয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে সাত বছর করার দাবি জানিয়েছেন ফাইজুল্লাহ ফয়েজ।
দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারাটি বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক জানিয়ে আইনজীবী ফাইজুল্লাহ ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা সংশোধন চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি নোটিশ পাঠিয়েছি।
ধারাটিতে নারী-পুরুষের মাঝে বৈষম্য করা হয়েছে বলে মনে করেন এই আইনজীবী। তিনি বলেন, দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় নারীকে অভিযুক্ত করা যাবে না বলে একপক্ষীয় নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাইজুল্লাহ ফয়েজ বলেন, দণ্ডবিধি আইন অনুযায়ী স্বামীর অনুমতি ছাড়া কোনো নারী অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে মিলিত হলে তৃতীয় পুরুষটিকে অভিযুক্ত করা যাবে, কিন্তু ওই নারীকে অভিযুক্ত করা যাবে না।
দণ্ডবিধি ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে- “কোনো ব্যক্তি যদি অপর কোনো ব্যক্তির স্ত্রী অথবা যাকে সে অন্য কোনো ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ আছে, এমন কোনো ব্যক্তির সাথে উক্ত অন্য ব্যক্তির সম্মতি ও সমর্থন ছাড়া এইরূপ যৌন সঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের সামিল নয়, তবে সে ব্যক্তি ব্যাভিচারের অপরাধের জন্য দোষী হবে এবং তাকে সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা অর্থ দণ্ডে অথবা উভয়বিধ দণ্ডেই দণ্ডিত করা যাবে। অনুরূপ ক্ষেত্রে স্ত্রী ব্যক্তিটির দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে দণ্ডিত হবে না।”
অর্থাৎ, কোনো নারী স্বেচ্ছায় পরকীয়ায় জড়িত হলেও বিরুদ্ধে কোনো আইনী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ বর্তমান আইনে নেই।
Leave a reply