আগুনরাঙা ফাগুনে ভর করে এলো ঋতুরাজ বসন্ত

|

শীতের বিদায় ঘন্টা ছাপিয়ে কোকিলের কুহুতান। কুয়াশার আবরণ উবে ঝকঝকে রোদেলা দিন। গাছে গাছে সমারহ নানা ফুলের। প্রকৃতিতে আগুনরাঙা ফাগুনে ভর করে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। গ্রামের নির্মল প্রকৃতিই শুধু নয়, শৌখিন বাগান আর নানা উৎসবে নাগরিক জীবনেও বসন্ত ধরা দেয় আপন উজ্জলতায়।

আকাশে মেলিয়া আঁখি তবুও ফুটেছে জবা, দুরন্ত শিমুল গাছে গাছে, তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক।’ পুরো বাংলাই আজ যেন তাই। এতদিন ধরে যার অপেক্ষা, সেই বসন্ত আজ সমাগত। আজ যে পহেলা ফাগুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন।

ফিকে হতে শুরু করেছে ভোরের কুয়াশারা। ঘাসের আগায় ছুটি মিলছে শিশিরের। হাজার মাইল পারি দেয়া অতিথি পাখিরা আবারও ফিরছে ফেলে আসা নিড়ে।

পাতা ঝরার দিনে শুকনো পাতার মচমচ শব্দ আর নব জাগরনের সূর্যে ভর করে এলো ঋতুরাজ বসন্ত।

ভর দুপুরে কোন অচিনপুরের কোকিলের ডাক, গ্রামে ভাঙে নিরবতা, আর শহরে কোলাহল।
.
পলাশ-শিমুলের চুড়ায় আগুন লাগা, বাসন্তী ফুল। ইট পাথরের শহরেও মাথা তুলে বসন্তের জানান দেয় বৃক্ষরাজি। ফুলে ফুলে ওড়ে মৌমাছি, ভ্রমর কিংবা পাখি মেটায় বেঁচে থাকার চাহিদা।

নাগরিক জীবনে ফুলের দোকানেও বসন্তের ছোঁয়া লাগে। এ ফুলেও বসে মৌমাছি, ধার করা সুখে মাতে ওরাও।এই ফুলের বিকিকিনিতে টিকে থাকে উদ্বাস্তুরাও।

বসন্তের আবহে সাজে প্রতিষ্ঠানগুলোর আঙ্গিনা। শৌখিন বাগানে নানা বয়সী মানুষ, খুঁজে পায় নব জীবনের ছন্দ।

শহরে গ্রামের আবহ না মিললেও, অভাব পড়ে না আনুষ্ঠানিকতার ।

গাছে গাছে সমারহ নানা ফুলের। প্রকৃতিতে আগুনরাঙা ফাগুনে ভর করে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। গাছের পাতার নতুন কুড়িতে ভর করে আসে বসন্ত। সেই বসন্তকে বরণ করে নিতে নগরবাসীদেরও চলছে নানা আয়োজন। পরম্পরা অনুযায়ী চারুকলার বকুলতলায় শুরু হয়ে গেছে বসন্ত উৎসব। গত কয়েক বছর ধরে বসন্ত বরণে নানা আয়োজন করে আসছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply