শোকাবহ জেলহত্যা দিবস আজ। জাতীয় চার নেতাকে স্মরণে রয়েছে নানা কর্মসূচি। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানায়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে।
এসময় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যা পর চার নেতা হত্যা ও শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা একই ষড়যন্ত্রের অংশ। এই হত্যা ষড়যন্ত্রের বিষয়ে নেতকর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে।
বনানী কবরস্থানে জাতীয় নেতাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ এইচ এম কামরুজ্জামান ছাড়া বনানী কবরস্থানে সমাহিত আছেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী। এই তিন নেতার স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরাও শ্রদ্ধা জানান। ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তারা। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমু বলেন, যে অপশক্তি বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে; তারাই আজ শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টায় লিপ্ত।
এর আগে রাত ১২টায় নাজিমউদ্দিন রোডে স্থানান্তরিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ বেশ কিছু সংগঠন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম ভূমিকা পালনকারী চার নেতাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানসহ অনেকে।
Leave a reply