সৌদিতে গ্রেফতার অভিযানের নেপথ্যে কী?

|

(বাম থেকে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাত ও ন্যাশনাল গার্ড এর প্রধানের পদ থেকে সদ্য অপসারিত প্রিন্স মুতয়িব বিন আব্দুল্লাহ)

সৌদি আরবে রীতিমতো গ্রেফতার অভিযান চলছে। গতকাল শনিবার দেশটির ন্যাশনাল গার্ড এর প্রধান প্রিন্স মুতয়িব বিন আব্দুল্লাহ ও নৌবাহিনী প্রধানকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার পরপরই শুরু হয় এই অভিযান। সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার দেয়া তথ্য মতে, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ জন প্রিন্সকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন বর্তমান মন্ত্রী। এক ডজনের বেশি সাবেক মন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। হাফিংটন পোস্ট জানিয়েছে, আটক হয়েছেন দেশটির একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান।

তবে কী কারণে উচ্চ পর্যায়ের এত সংখ্যক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার কোনো ব্যাখ্যায় দেয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বিষয়টিকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা সংহত করার জোরালো প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পশ্চিমা অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও একই ধরনের কথা বলছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যবসায়ী প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাত। বাদশাহ সালমানের ছেলে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স’ থেকে ‘ক্রাউন প্রিন্স’-এ উন্নীত হওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন আল-ওয়ালিদ। একই সাথে ন্যাশনাল গার্ডের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া প্রিন্স মুতয়িব বিন আব্দুল্লাহ মোহাম্মদের একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। অনেকে মনে করেন, সাবেক বাদশাহ আব্দুল্লাহর এই ছেলে প্রিন্স মোহাম্মদের দ্রুত অগ্রযাত্রার কারণে রাজমুকুটের পরবর্তী দাবিদারের তালিকায় পেছনে পড়ে গেছেন।

হাফিংটন পোস্ট অবশ্য প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার চেষ্টার সাথে আরেকটি অনুমানের কথাও বলছে। সৌদি রাজপরিবারের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে কোনো ‘অভ্যুত্থান’ এর চেষ্টা হচ্ছিল কিনা সে প্রশ্নটি সামনে এনেছে পত্রিকাটি। তবে সৌদি বা মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক কোনো সংবাদমাধ্যম গ্রেফতার অভিযানের নেপথ্যে কী আছে তা নিয়ে এখনো মুখ খুলেনি।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ের জামাই জ্যারেড কুশনারের গোপনে রিয়াদ সফরের পরপরই সৌদি সরকারের এমন ধরপাকড়কে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে মনে করছেন অনেকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply