লাফিয়ে পড়ে মারা গেলেন স্বামী, ভবন থেকে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

|

বনানীর এফআর টাওয়ারে বৃহস্পতিবার আগুন লাগার পর জীবন বাঁচাতে অনেকেই দড়ি বেয়ে নেমে আসার চেষ্টা করেন। অনেকে আবার উপায়ন্তর না দেখে সুউচ্চ ভবনটির বিভিন্ন তলা থেকে লাফ দেন। এদেরই একজন মাকসুদুর রহমান। বাঁচার জন্য ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টা পর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয় ৩ জনের মরদেহ। তাদের মধ্যে একজন মাকসুদ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই তিনজনই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হন।

এফআর টাওয়ারের দশম তলায় হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস নামে একটা ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতে মাকসুদ। তার স্ত্রী রুমকীও সেই একই প্রতিষ্ঠানের কর্মী। লাফিয়ে পড়া মাকসুদের মৃত্যু হলেও রুমকীর তাৎক্ষনিক কোন সন্ধান মেলেনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর ভবনের ভেতর থেকে এক দগ্ধ নারীর মরদেহ নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেলে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাকসুদের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ সেখানে গিয়ে শনাক্ত করেন রুমকির মরদেহ।

ইমতিয়াজ জানান, মাকসুদ ঢাকার ছেলে, আর রুমকির বাবার বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকায়। তিন বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে জানিয়ে ইমতিয়াজ বলেন, তাদের কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। মাকুসদের মা ও বোনকে নিয়ে তারা এক বাসায় থাকতেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply