মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ১৪ দিন পর, নিহতদের জাতীয়ভাবে স্মরণ করল নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলে পার্কে শুক্রবার জড়ো হন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এ সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ান খোদ প্রধানমন্ত্রীসহ গোটা মন্ত্রিপরিষদ।
এসময়, প্রার্থনার পাশাপাশি গান, স্মৃতিকথার মাধ্যমে স্মরণ করা হয় ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহত ৫০ জনকে। শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থীর বুলেটে প্রাণ হারানো সর্বকনিষ্ঠ শিশুটির বয়স ছিলো তিন বছর।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন তাঁর ভাষণে বলেন, সমাজ থেকে বিদ্বেষের ভাইরাস দূর করা অসম্ভব। কিন্তু নিরাময়ের উপায় খুঁজে বের করতে হবে নিউজিল্যান্ডকেই। তিনি জানান, মানবিকতার মাধ্যমে রুখে দিতে হবে চরমপন্থা।
তিনি আরও বলেন, উন্নত জীবন এবং পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্যেই এসব মানুষ নিউজিল্যান্ডে এসে ছিলেন। নিহতরা আসলে আমাদেরই অংশ। তাদের স্মৃতি দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে দিলো। নিউজিল্যান্ডকে বৈচিত্র্যপূর্ণ-ধৈর্য্যশীল রাষ্ট্র হিসেবে ধরে রাখার দায়ভার এখন বাকিদের। এখানে সন্ত্রাসবাদ, ধর্ম-বর্ণ বিদ্বেষ, চরমপন্থা, সহিংসতার কোন স্থান নেই। প্রত্যেকে নিজের অভিমত, ধর্মীয় মতাদর্শ প্রকাশের সুযোগ পাবেন।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল-নূর এবং লিনউড মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫ বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহত হন।
সেদিন মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলেও একটু দেরিতে যাওয়ায় বেঁচে যান নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
নিহত বাংলাদেশি আরও দু’জন হলেন গোপালগঞ্জের হুসনে আরা আহমেদ ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. আব্দুস সামাদ।
যমুনা অনলাইন: আরএস
Leave a reply