বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই তুঙ্গস্পর্শী উত্তেজনা। দু’দলের দ্বৈরথ নিয়ে সব সময় উত্তেজনায় থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। আজ মুখোমুখি দুই দল। এর আগে বিশ্বকাপে ছয়বারের সাক্ষাতে প্রতিবারই জিতেছে ভারত। কেমন ছিল সেই ম্যাচগুলো? কারা ছিলেন সেসব ম্যাচের হিরো? দেখে নেয়া যাক।
১৯৯২ বিশ্বকাপে প্রথম মুখোমুখি হয় দুই দেশ। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২১৬ রান করে। জবাবে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
ব্যাটে-বলে ওই ম্যাচে ভালো পারফর্ম করেন শচীন টেন্ডুলকার। ব্যাটে ৫৪ রানের পাশাপাশি বল হাতে একটি উইকেট নেন মাস্টার ব্লাস্টার। ম্যাচের সেরাও হন তিনি।
১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আবার মুখোমুখি হয় দুই দেশ। ভারত প্রথমে ব্যাট করে আট উইকেটে ২৮৭ রান করে। জবাবে পাকিস্তান নয় উইকেটে ২৪৮ রান করে।
সিধুর অনবদ্য ৯৩ রানের জন্য বড় স্কোরে পৌঁছতে পারে ভারত। অনিল কুম্বলে ও ভেঙ্কটেশ প্রসাদ দু’জনই তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন সিধু।
১৯৯৯ সালে সুপার সিক্সের ম্যাচে আবার মুখোমুখি হয় দুই দল। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ২২৭ করলেও পাকিস্তান ১৮০ রানে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাট হাতে রাহুল দ্রাবিড়ের ৬১ রান এবং বল হাতে ভেঙ্কটেশ প্রসাদের পাঁচ উইকেট ভারতকে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তৃতীয় জয় পেতে সহায়তা করে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ।
২০০৩ সালে গ্রুপ ম্যাচে চতুর্থবার মুখোমুখি হয় দুই দেশ। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ২৭৩ রান করে। সেঞ্চুরি করেন সাঈদ আনোয়ার। ভারত ৪৫ ওভারের মধ্যে চার উইকেটে এই রান তুলে ফেলে। শচীনের অনবদ্য ৯৮ রান ভারতকে জয় তুলে নিতে সাহায্য করে। তাকে ৪৪ রান করে যোগ্য সাহায্য করেন রাহুল দ্রাবিড়। হাফ সেঞ্চুরি করেন যুবরাজ সিং। ম্যাচের সেরা হন শচীন।
২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফের দেখা হয় দু’দলের। ভারত প্রথমে ব্যাট করে নয় উইকেটে ২৬০ রান করে। ২৩১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।
শচীনের ৮৫ রানের ইনিংস দেখতে পাওয়া যায় এই ম্যাচে। ভারতীয় বোলাররাও প্রায় সবাই সফল হন। পাঁচজন বোলার প্রত্যেকেই দুটি করে উইকেট নেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন শচীন।
২০১৫ বিশ্বকাপে ষষ্ঠবার দেখা হয় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। গ্রুপ ম্যাচে ভারত প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ৩০০ রান করে। পাকিস্তান ৪৭ ওভারে মাত্র ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায়। ব্যাট হাতে বিরাট কোহলির ১০৭ রান এবং বল হাতে মোহাম্মদ সামির চার উইকেট ষষ্ঠবার ভারতকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিততে সাহায্য করে। ম্যাচসেরা হন বিরাট কোহলি।
Leave a reply