কিছু দিন পরপর তার দেশে একেকটি নির্বাচন আসে, এবং নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হয় এক ব্যক্তি। তিনি হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। বিগত ১৭ বছর ধরে টানা ক্ষমতায় থাকাবস্থায় নিয়মিতই তাকে এমন পরীক্ষা দিয়ে এবং তাতে ‘পাশ’ করেই সামনে এগুতো হয়েছে।
তবে গত মার্চে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের ধাক্কা খান এরদোগান। নিজের জন্মস্থান- যেখানকার মেয়র হওয়ার মাধ্যমেই রাজনীতিতে তার উত্থান- এবং দলীয় ঘাঁটিতেই হেরে বসেন এরদোগানের পছন্দের মেয়র প্রার্থী এবং তারই মন্ত্রিসভার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।
তার সমালোচকরা এটাকে এরদোগানের একক ক্ষমতা চর্চার পতনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছিলেন। কিন্তু ওই নির্বাচনে বিরোধীদের পক্ষে ফলাফল দিতে ‘কারচুপি’ করা হয়েছে বলে দাবি তুলেন ক্ষমতাসীন এরদোগান। এক পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনও মেনে নেয় শাসক দলের দাবি। নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় জুন মাসের ২৩ তারিখ।
আজ সেই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ইস্তাম্বুলবাসী। আর এর মধ্যে নতুন করে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে এরদোগানের ইমেজ, তথা তার ভবিষ্যত রাজনীতির গতিপথ। নতুন করে নির্বাচনের পরও ক্ষমতাসীন দল হেরে গেলে তা হবে ঐতিহাসিক।
নির্বাচনের পর ভোটের ফল জানতে তাই অধীর আগ্রহে আছেন তুর্কিরা। শুধু তা- নয়, পশ্চিমা বিশ্বেও ব্যাপক আগ্রহ এই ভোট নিয়ে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে নির্বাচনটির খবরাখবর।
Leave a reply