২০১৫ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের প্রাপ্তি বলতে ছিল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র জয়। এরপর গত চার বছরে অনেক এগিয়েছে আফগান ক্রিকেট। পা রেখেছে টেস্ট আঙিনায়। কিন্তু ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত মঞ্চে নিজেদের বড় হয়ে ওঠার ছাপ রাখতে নিদারুণ ব্যর্থ আফগানিস্তান। এই বিশ্বকাপে টানা আট ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে তাদের বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছে। দেশে ফেরার আগে জয়খরা কাটানোর শেষ সুযোগ আজ আফগানদের সামনে। হেডিংলিতে আজ মুখোমুখি আফগানিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিয়মরক্ষার এই ম্যাচ দিয়েই শেষ হচ্ছে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে দু’দলের ভরাডুবির বিশ্বকাপ। আট ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে নয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিছুই পাওয়ার নেই ম্যাচ থেকে। দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় কোনো সান্ত্বনা হতে পারে না। বিশ্বকাপ শুরুর আগে অবশ্য এই ম্যাচটির আলাদা তাৎপর্য ছিল জেসন হোল্ডারের কাছে। উইন্ডিজ অধিনায়ক বলেছিলেন, প্রতিশোধ নিতে উন্মুখ তারা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রতিশোধ! কথাটা বিস্ময়কর শোনালেও এটাই সত্যি যে, ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই উইন্ডিজের রেকর্ড সবচেয়ে বিবর্ণ। দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে ফল হওয়া চার ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে আফগানিস্তান। এর মধ্যে গত বছর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আফগানদের কাছে দু’বার হেরেছিল উইন্ডিজ। ফাইনালে সাত উইকেটের শোচনীয় হারের বদলা নেয়ার কথা বলেছিলেন হোল্ডার। কিন্তু প্রবল ঝড়ের ঝাপটায় সেই আগুন এতদিনে নিভে যাওয়ার কথা।
প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর কিছুই আর পক্ষে যায়নি ক্যারিবীয়দের। হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য উইন্ডিজের দৃষ্টি এখন আগামী মাসে ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দিকে। সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে আফগানিস্তানই আজ বেশি মরিয়া থাকবে। শ্রীলংকা, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জেতার সুযোগ তৈরি করেও তুলির শেষ আঁচড় টানতে পারেনি আফগানরা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আড়ালে চলে গেছে তাদের স্পিনারদের সাফল্য। সেই দুঃখ ভোলার শেষ সুযোগ আজ মুজিব, রশিদের সামনে।
Leave a reply