শিরোপা জয়ের জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৬ রান। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে বুক চিতিয়ে লড়ছিলেন বেন স্টোকস। সেই ওভারের চতুর্থ বল মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে দৌড়ে দুই রান নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
এ পথে মার্টিন গাপটিলের থ্রো তার ব্যাটে লেগে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায়। ফলে দুইয়ের জায়গায় ছয় রান পান স্বাগতিকরা। মূলত তাতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। শেষ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মাতে ইংল্যান্ড। স্বপ্নভঙ্গ হয় নিউজিল্যান্ডের।
এমন ভুতুড়ে সিদ্ধান্তের জন্য আম্পায়ারদেরই দায়ী করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বিখ্যাত আম্পায়ার সাইমন টাফেল। তিনি মনে করেন, ইংল্যান্ডকে সেসময় ছয় রানের জায়গায় পাঁচ রান দেয়া উচিত ছিল। এই সিদ্ধান্ত স্টোকসকে স্ট্রাইকে নিয়ে যায়। এটাও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গেছে।
এমন সিদ্ধান্ত মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) নিয়মকেও ভঙ্গ করেছে বলে দাবি করেন টাফেল। তিনি পাঁচবার আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ার ছিলেন। বর্তমানে আম্পায়ারদের প্রশিক্ষণ দেন এই অজি ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব। অর্থাৎ কোচের ভূমিকা পালন করছেন তিনি।
তার ভাষ্যমতে, ইংল্যান্ডকে পাঁচ রান দেয়া উচিত ছিল। ছয় রান নয়। এটা পুরোপুরি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আম্পায়ারদের বিচারে ভুল হয়েছে। কে রান নিচ্ছিল তা লক্ষ্য করেননি তারা। কিন্তু তাদের দেখা উচিত ছিল, ফিল্ডার বল থ্রো করার সময় ব্যাটসম্যানের গতিবিধি কেমন ছিল। আম্পায়াররা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা ন্যায্য নয়।
ওই সময় ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল তিন বলে নয় রান। ছয় রান পেয়ে যাওয়ায় দরকার ছিল দুই বলে তিন রান। শেষমেশ সুপার ওভারে গড়ায় ম্যাচটি। সেখানেও মীমাংসা না হলে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি বিবেচনায় শিরোপা জেতেন মরগানরা। খালি হাতে ফেরেন উইলিয়ামসনরা।
Leave a reply