বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ইংল্যান্ডও থামে সমান রানে। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। এবার আগে ব্যাট করে ১৫ রান করেন ইংলিশরা। রান তাড়া করতে নেমে সেই রানেই থামেন কিউইরা।
লর্ডসে শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির হিসাবে জয়ী হয় ইংল্যান্ড। সুপার ওভারসহ গোটা ম্যাচে ২২ বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকায় তারা। সেখানে নিউজিল্যান্ড মারে সমান ছক্কা ও ১৪টি চার। ফলে টাই ভাঙানোর নিয়মের কব্জায় পড়ে স্বপ্নভঙ্গ হয় ব্ল্যাক ক্যাপসদের।
নিয়মটা আগে থেকেই জানা ছিল দু’দলের খেলোয়ারদের। সুতরাং পছন্দ না হলেও আপত্তি করার সুযোগ ছিল না। বাস্তবতা বুঝে তাই ম্যাচশেষে কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বললেন, হ্যাঁ, আবেগে হৃদয় টইটম্বুর হয়ে গেলেও এই নিয়মে হার হজম করা যায় না। মাঠে দুই দলই চূড়ান্ত সাফল্যের জন্য খেলেছে। দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রম করেছে। কেউই পিছিয়ে ছিল না। এমতাবস্থায় নিয়মের ঘেরাটোপে কিছু একটা করে কোনো দলকে জয়ী ঘোষণা করলে মানতে কষ্ট হয়।
তবে ক্রিকেটের এ নিয়ম আগে থেকেই ছিল উল্লেখ করে উইলিয়ামসন বলেন, ভালো খেলার পর কেউই আসলে এমন ফল প্রত্যাশা না। কারণ, এটা হজম করা খুব কঠিন। যাহোক, দুর্দান্ত এক খেলা হয়েছে। সবাই নিশ্চয়ই উপভোগ করেছেন।
Leave a reply