আনিসুল হককে শেষ বিদায়: কী কখন কোথায়?

|

লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে আজ বাদ জুমা জানাজা শেষে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আনিসুল হকের মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে। কাল শনিবার দেশে পৌঁছার পরে আনিসুল হককে শেষ বিদায় জানানোর আগের কর্মসূচি ঠিক করেছে পরিবার।

সকাল ১১টা ৪০ মিনিট: শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে মরদেহ।

দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট: পরিবারের সদস্য ও স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের দেখার জন্য মরদেহ রাখা হবে আনিসুল হকের বাসভবনে।

বিকাল ৩টা: মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে আর্মি স্টেডিয়ামে। এবং সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্টেডিয়াম উন্মুক্ত থাকবে।

বিকাল ৪টা: আসরের নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় জানাজা। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থাানে মায়ের কবরের পাশে ও ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।

এদিকে মেয়রের মৃত্যুতে আজ থেকে ৩ দিনের শোক পালন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। এছাড়া আরও জানানো হয়, আগামী রোববার করপোরেশনের অফিস বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে (লন্ডনের স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিট) লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। চিকিৎসকরা তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্র (ভেন্টিলেশন যন্ত্র) খুলে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এ সময় তার স্ত্রী রুবানা হক, ছেলে নাভিদুল হকসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

এদিকে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, কাল আর্মি স্টেডিয়ামে আরেক দফা জানাজা শেষে আনিসুল হককে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। সেখানে ছোট ছেলে শারাফুল হকের কবরেই শায়িত হবেন আনিসুল। ২০০২ সালে ৬ বছর বয়সে মারা যান আনিসুল হক ছোট ছেলে শারাফুল হক

লন্ডন সফরে গিয়ে গত ৪ আগস্ট অসুস্থ হয়ে পড়েন আনিসুল হক। ভর্তি হন স্থানীয় ওয়েলিংটন হাসপাতালে। মস্তিস্কের রক্তনালীতে প্রদাহজনিত ‘সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস-এ’ আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। আনিসুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শোক জানিয়েছেন।

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply