ভাড়ায় আনা মিসরের ‘ইজিপ্ট এয়ার’-এর একটি অকেজো উড়োজাহাজ বসিয়ে রাখায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে প্রতি মাসে গচ্চা দিতে হচ্ছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা।
অপর একটি অকেজো উড়োজাহাজ ফিরিয়ে দেয়া হলেও এটি না পাঠানোয় এ লোকসান গুনতে হচ্ছে। জাতীয় সংসদ ভবনে রোববার অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইজিপ্ট এয়ার থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ ভাড়ায় আনে বিমান। ড্রাই লিজে আনা বোয়িং দুটি বিমানবহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চে। কিছুদিন পরই বোয়িং দুটো অকেজো হয়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী, চলুক আর না চলুক প্রতি উড়োজাহাজ বাবদ ইজিপ্ট এয়ারকে প্রতি মাসে সাড়ে ৫ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, দুটি উড়োজাহাজের একটি ফেরত দেয়া হয়েছে। অন্যটিও ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মিসর থেকে ত্রুটিপূর্ণ বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে যে অসম চুক্তি করা হয়েছিল, সেটি খতিয়ে দেখতে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেয় কমিটি।পাশাপাশি যারা ওই চুক্তির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তীতে বিমানের কোনো বড় ধরনের চুক্তি বা ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে কমিটিকে অবহিত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, বিগত ১০ বছরে বিমানের কী কী যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রত্যেক মাসের ১৭ তারিখে অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ১৭ জনকে ১৭ শতাংশ মূল্য ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মো. আসলামুল হক, তানভীর ইমাম, আনোয়ার হোসেন খান ও সৈয়দা রুবিনা আক্তারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি সাব-কমিটি গঠন করে দিয়েছি; সেই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলতে পারব এয়ারক্রাফট ভাড়ার বিষয়টি। এক্ষেত্রে কী ক্ষতি হয়েছে সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমরা দেখব মন্ত্রণালয় কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারা চুক্তি করেছিল, সেটা যথাযথ ছিল কিনা।
বৈঠকে পর্যটন শিল্পকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন করতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে বলা হয়।
Leave a reply