ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ২৬ তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে নুসরাতের মৃতদেহ তদন্ত প্রেরণের সময় সনাক্তকারী ঢাকার শাহবাগ থানার পুলিশেল কনস্টেবল রমজান আলী ও একই থানার এসআই সামছুর রহমান, পিবিআইয়ের ফেনী শাখার এএএসআই মো. সজিব হোসেন, এএসআই বিল্লাল হোসেন ও কনস্টেবল আলমগীর হোসেন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আগামী রোববার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন। একইদিন বুধবার সাক্ষ্য দেয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনকেও জেরা করবেন আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।
আসামী পক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী রোববার দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে এক সাথে জেরা করার দিন ধার্য করেন বিচারক মামুনুর রশীদ। সেজন্য সেদিন অন্যকোনও সাক্ষী রাখা হয়নি। এ মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। সেজন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের সাক্ষী রাখা হয়েছে।
এ মামলার ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২৭ জুন থেকে এ মামলার সাক্ষ্য কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর পর থেকে প্রতি কর্মদিবসে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
Leave a reply