প্রায় ৩০ ঘণ্টা টানা অস্ত্রোপচারের পর পৃথক করা হলো পাবনার জোড়া মাথার দুই বোন রাবেয়া ও রোকাইয়াকে। শুক্রবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তাদের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
দাতব্য সংস্থা অ্যাকশন ফর ডিফেন্সলেস পিপল ফাউন্ডেশনের (এডিপিএফ) নিউরো সার্জন এবং চিকিৎসক দলের প্রধান আন্দ্রেস কসোকে জানান, চূড়ান্তভাবে আলাদা করার পর দুই বোনের অবস্থা স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। তারা এখন পর্যবেক্ষণে রয়েছে। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
৩৫ জন বিশেষজ্ঞ হাঙ্গেরিয়ান সার্জনকে নিয়ে রাবেয়া-রোকাইয়ার মাথা আলাদা করা হয়। এর আগে ২৫ জানুয়ারি যমজ দুই শিশুকে হাঙ্গেরিতে প্রথম অপারেশন করা হয়। সেখানে মাথার টিস্যু এক্সপানসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল।
এরপর চূড়ান্ত অস্ত্রোপচারের জন্য গত জুলাইয়ের শেষ দিকে রাবেয়া-রোকাইয়াকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের সঙ্গে আসেন হাঙ্গেরিয়ান বিশেষজ্ঞরাও। অবশ্য অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকরা বলেছিলেন, দুই বোনের বাঁচার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি।
রাবেয়া-রোকাইয়ার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ডাক্তাররা আমার দুই সন্তানকে আলাদা করেছেন। আমি নিজের চোখে তাদের দেখেছি। তারা এখন ভালো আছে।
প্রসঙ্গত পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামের স্কুলশিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয় যমজ রাবেয়া ও রোকাইয়া।
২০১৬ সালের ১৬ জুন অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় তাদের। অপারেশনের মাধ্যমে শিশু দুটিকে আলাদা করা ব্যয়বহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ। গত ২০ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয় এ দুই শিশুকে।
Leave a reply