পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনা আর উদ্বেগ উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটিকে বহাল রাখার ঘোষনা দিলেন কেন্দ্রীয় কমিটি।
আজ সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বের কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রাহাত (জামশেদ) কে বহাল রাখার ঘোষনা দেওয়া হয়।
এরফলে গত কয়েকদিনের টানা উত্তেজনারও অবসান ঘটল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, গত ১ লা আগস্ট প্রকাশিত ছাত্রলীগ বাউফল উপজেলা কমিটি নিয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তা সত্য নয় এবং বাউফল উপজেলা শাখার পূর্বের কমিটি বহাল থাকবে।
সেই সাথে উক্ত ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার উপযুক্ত কারণ সহ লিখিত জবাব আগামী ১৮ আগস্ট তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় সেলে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
উল্লেখ্য, গত ১লা আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার তার নিজের ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে বাউফল উপজেলার পূর্বের কমিটি বাতিল করে মোঃ আল-আমিন ত্বোহা সভাপতি এবং মোঃ তানজিল হোসেন অভি কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে বলে জেলা ছাত্রলীগের প্যাডের মাধ্যমে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং তাদেরকে অভিনন্দন জানায়।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ভূইয়ার স্বাক্ষর থাকলেও তাৎক্ষণিকভাবে ওই স্বাক্ষর জাল বলে নবাগত ওই কমিটিকে ভুয়া আখ্যায়িত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেয়।
এরপর ওই দিন থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কর্তৃক ঘোষিত নবাগত ওই কমিটির পক্ষে বিপক্ষে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করে এতে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
এরই রেষ ধরে গতকাল বাউফল উপজেলায় ছাত্রলীগের দুই’গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। দিনভর ওই উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন হলে পরিবেশ শান্ত হয়।
কথিত আছে পূর্বের কমিটির নেপথ্যে বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল এবং জেলা ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটির নেপথ্যে সাবেক চীপ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এমন গুঞ্জন গোটা জেলাজুড়ে বিরাজ করলেও তারা দুইজনই তা অস্বীকার করে আসছে।
এরপর আজ সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।
Leave a reply