মুসলিম, ইহুদি এবং খ্রিস্টান তিন ধর্মের অনুসারীদের কাছেই সমান মর্যাদার পবিত্র ভূমি জেরুজালেম। ‘ডেড সি’ বা মরু সাগরের পশ্চিম পাশে মাত্র ১২৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তের প্রাচীন এ শহর কেবল ধর্মীয় কারণে নয় রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
ঠিক একশো বছর আগে, বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমেই ফিলিস্তিনিদের এলাকায় ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কার্যক্রম শুরু। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের অনুমোদন দেয় জাতিসংঘ। তবে জেরুজালেম নিয়ে বিতর্কের অবসান হয়নি। বরং তা আরও মাথাচাড়া দিয়েছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ে নিজেদের রাজধানী হিসেবে চায় জেরুজালেমকে। প্রস্তাবিত দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মূলেও রয়েছে জেরুজালেম। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমের স্বীকৃতি, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরো উস্কে দেবে। শান্তি প্রক্রিয়ার পথ বন্ধ হয়ে আবারও ছড়াতে পারে সংঘাত।
নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে প্রাচীন কাল থেকে বারবারই যুদ্ধবিগ্রহের শিকার হয়েছে জেরুজালেম। ইতিহাস বলছে, অন্তত ৫০ বার হামলার-পাল্টা হামলার কবলে পড়ে ঐতিহাসিক শহরটি। দীর্ঘ অবরোধের মুখে পড়ে ২৩ বার। আর দুইবার পরাক্রমশালী শত্রুপক্ষের আক্রমণে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় শহরটি।
Leave a reply