সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ হত্যাকাণ্ডের পর ইয়েমেনের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের তরফ থেকে বিবদমান পক্ষগুলোকে রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান জানানো হলেও তাতে নারাজ হুতি বিদ্রোহীরা। পরিস্থিতির জন্য সৌদি জোটকে দায়ী করে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এতে দেশটির শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
দীর্ঘদিন হুতি বিদ্রোহীদের সাথে জোটবদ্ধ ছিলেন ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ। তবে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দেয়া শিয়াপন্থী গোষ্ঠীটির চোখে বিশ্বাসঘাতকে পরিণত হন তিনি। তাই সালেহকে হত্যার পর রাজধানী সানায় আনন্দ শোভাযাত্রায় নামে হুতি সমর্থকরা।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট করো বেসো বলেন দেশটিতে অস্ত্রবিরতি এই মুহুর্তে খুব জরুরি ইস্যু। কারণ, লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
অবশ্য, আন্তর্জাতিক মহলের এসব উদ্যোগকে পাত্তা দিচ্ছে না হুতি বিদ্রোহীরা। বরং পরিস্থিতি অবনতির জন্য সৌদি জোটকেই দুষছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে সহসাই শান্তি ফিরছে না বলে শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র শেখ সাদেক আবু শাওয়ারেব বলেন, বিমান হামলা ও অযৌক্তিক অবরোধ দিয়ে আমাদের দমাতে না পেরে শেষ চাল দিয়েছে সৌদি আরব। সালেহ’র ছেলেকে আরব আমিরাতে বন্দি করে ষড়যন্ত্রের ছক কষেছে তারা। কিন্তু দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, লড়াই চলবে, ষড়যন্ত্রে পা দেবো না আমরা।
এডেন সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের প্রধান কাশেম দাউদ বলেন, সালেহ যদি বিশ্বাসঘাতকতা করেই থাকতো তবে তাকে গ্রেফতার করা যেতো। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড কি শান্তি ফেরাবে? বরং নতুন করে সহিংসতা ও রক্তপাতের জগতে প্রবেশ করলো ইয়েমেন।
সালেহ হত্যাকাণ্ডের পর ইয়েমেনের প্রতি আরও কঠোর হয়েছে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। মঙ্গলবার হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে সানায় দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে তারা।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply