কাশ্মির সংকট সমাধানে জাতিসংঘের চার্টার ও রেজুলেশন অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। ভারত ও পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সংকটটির সমাধান হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছে দেশটি।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার বাতিলের পর শুক্রবার চীনের আহ্বানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এক অনানুষ্ঠানিক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে এ আশা ব্যক্ত করে রাশিয়া।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান হেরাল্ড আজ ‘Russia stuns India, invokes UN resolutions on Kashmir’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৈঠকে রাশিয়ার অবস্থান স্তম্ভিত করেছে ভারতকে।
দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মির ইস্যুকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আসছে নয়া দিল্লী। গত ৫ আগস্ট কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর এই দাবি বক্তব্য আরও জোরালো করেছে দেশটি।
অন্যদিকে পাকিস্তান বলে আসছে এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। বরং আন্তর্জাতিক ইস্যু। ফলে এই সমস্যার সমাধানে জাতিসংঘের চার্টার ও রেজুলেশন অনুসরণ করতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জাতিসংঘের চার্টার ও রেজুলেশন অনুসরণের আহ্বান স্বাভাবিকভাবেই ভারতকে অবাক করেছে।
শুক্রবারের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রুশ কূটনীতিক দিমিত্রি পলিয়ানস্কি।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে একটি টুইটে দিমিত্রি পলিয়ানস্কি লেখেন, রাশিয়া সব সময়েই ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পক্ষে জোর দিয়ে আসছে। আমরা আশা করি কাশ্মির বিরোধ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধান করাই শ্রেয়।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ওই সমাধানের ভিত্তিটি হবে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর ঘোষণা এবং জাতিসংঘের চার্টার, জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন এবং ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপর।
মূলত, ‘জাতিসংঘের চার্টার’ এবং ‘জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট রেজুলেশন’ শব্দগুলোই ভারতের জন্য সমস্যার। কারণ, ভারত মনে করে সিমলা চুক্তি ও ৯৯ সালের লোহোর ঘোষণার মাধ্যমে কাশ্মির ইস্যু দুই দেশের বাইরে কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপের উর্ধ্বে চলে গেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের পর কাশ্মির ইস্যুতে এই প্রথমবারের মতো বৈঠক করলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠকে অংশ নেয়নি ভারত ও পাকিস্তানের কেউ।
Leave a reply