গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গুইসাপ বাঘের মৃত্যু ঘটেছে। ঈদের দিন (১২ আগস্ট) আড়াই বছর বয়সী বাঘের বাচ্চাটির মৃত্যু হয়। তবে, সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেছে ৫ দিন পর। এর ফলে সাফারি পার্কের বাঘের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান যমুনা নিউজকে জানান, ৫ আগস্ট দুপুরে পার্কের বাঘ বেষ্টনীতে একটি বাঘ বড় আকৃতির একটি গুইসাপ খেয়ে ফেলে। সেদিন অন্যান্য বাঘ খাবার খেতে নির্দিষ্ট ঘরে গেলেও ওই বাঘটি আর ফেরেনি। পরদিন বাঘ বেষ্টনীর গেইটম্যান নজরুল ইসলাম তাকে বাঘের গুইসাপ খাওয়ার কথা জানান। বাঘটি গুইসাপ খাওয়ার পর থেকেই কোনো খাবার না খেয়ে ঝিমুতে শুরু করে। এরপর ৭ আগস্ট ট্রাঙ্কুলাইজার ব্যবহার করে অচেতন করে বাঘটিকে চিকিৎসা দেয় হয়। ৯ আগষ্ট থেকে বাঘটিকে প্রকশ্যে কোথাও দেখা যাচ্ছিল না।
পরে ঈদের দিন বেলা পৌণে ১২টার দিকে তাকে বাঘ বেস্টনীর ভেতরে রাস্তার উপরে মৃতাবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গুইসাপ খেয়েই বাঘটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্য
স্বাভাবিক খাবার খেতে না পেরে এটি মারা গেছে। এছাড়া, এটিকে বিষধর কোনো সাপেও কেটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে একটি মেডিকেল বোর্ড ও তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
তবে শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন জানান, মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত করার পর তার দেহের নমুনা পরীক্ষার জন্য ১৩ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ গবেষণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘ মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
শ্রীপুর ঊপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা উকিল উদ্দিন জানান, খাদ্যের বিষক্রিয়া থেকেই বাঘটির মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
Leave a reply