কর্মব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে টাইগারদের নতুন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর। দীর্ঘ যাত্রা শেষে মঙ্গলবার শেষ বিকেলের আলোয় শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। রাত পোহানোর পরই নেমে পড়লেন কাজে। বুধবার সকাল সকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চলে যান। ঢাকা শহরের যানজট আগেই একবার দেখে গেছেন বলে কিনা ভেবেছিলেন অন্তত দেড় ঘণ্টা তো লাগবেই। কিন্তু দ্রুতই পৌঁছে গিয়ে অবাক হয়েছিলেন এ দক্ষিণ আফ্রিকান।
স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে গিয়েও অবাক হতে হয়েছে ডোমিঙ্গোকে। বলেই ফেললেন, আমি জীবনে এত রিপোর্টার একসঙ্গে দেখিনি। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার বড় কোনো ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে বড়জোর আট–নয়জন রিপোর্টার থাকে। কাল বিমানবন্দরে মনে হয় ১০০ ক্যামেরা ছিল। এতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়ে গেছি। এই যে বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট নিয়ে এত আবেগ, এটাই হয়তো আমাকে এখানে আসতে অনুপ্রাণিত করেছে।
অবশ্য, বাংলাদেশে তিনি আগেও অনেকবার এসেছেন। প্রথমবার এসেছিলেন ২০০৪ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে। কিন্তু এবার তো ভিন্নভাবে আসা। বাংলাদেশকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসা। অবশ্য, ডমিঙ্গোকে আত্মবিশ্বাসীই মনে হলো, দেখুন আমি অনূর্ধ্ব–১৫, ১৭, ঘরোয়া ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছি। জানি সিস্টেমটা কী।
নিজের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা আর নিখুঁত পরিকল্পনায় ডমিঙ্গো সাফল্য এনে দিতে চান বাংলাদেশকে। নিছক স্বপ্নের ফানুস না উড়িয়ে বলেনছেন বাস্তব কথাও, আমরা আশা করি না বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নেবে। বরং আমাদের মানিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে। এখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে।
কিছুদিন পরই ঘরের মাঠে আফগানিস্তান বিপক্ষে ম্যাচ ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আন্তর্জাতিক সিরিজের পর যে বিরতি পাওয়া যাবে, তখন বসে থাকবেন না ডমিঙ্গো। তিনি বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে চান। পাইপলাইন থেকে খেলোয়াড় তুলে আনার কাজ শুরু করবেন। বোঝা যাচ্ছে, কোমর বেঁধেই নামবেন ডোমিঙ্গো!
Leave a reply