দ্বিতীয় দফা দিনক্ষণ ঠিক করেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ। তাদের তরফে গাফিলতি ছিলো না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যারা রোহিঙ্গাদের না যেতে প্ররোচিত করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে শরনার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে সাক্ষাৎকার দেয়া ২৯৫ পরিবারের কেউ-ই মিয়ানমারে ফিরতে রাজি নয়।
দুপুরে বাংলাদেশ, চিন ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ব্রিফিংয়ে জানান, প্রথম দিনে অন্তত তিনশো রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পাঠানোর প্রস্তুতি ছিল।
প্রত্যাবাসনের জন্য টেকনাফের কেরুনতলী ঘাট ও ঘুমধুম পয়েন্টে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। কিন্তু স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরতে রাজি না হওয়ায়, আপাতত তাদের কিছু করার নেই। তবে নিয়ম অনুযায়ি বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন তারা। এ সময়ের মধ্যে কেউ ফিরতে চাইলে, সে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এর আগে প্রতিদিন তিনশো করে সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরাতে সম্মত হয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। গত বছরের নভেম্বরে একদফা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু শিবিরগুলোতে বিক্ষোভের মুখে ভেস্তে যায় সেই উদ্যোগ।
Leave a reply