কাশ্মির ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি উত্তেজনা যেন কমছেই না। মধ্যস্থতার কথা বলে মাঝে মাঝে উত্তেজনার পারদ যেন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে দীর্ঘ ফোনালাপও হয়েছে তার। এরপর থেকে কী আরও হার্ডলাইনে ইমরান? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের দেশ যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেলে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ইমরান। অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের সাংবিধানিক বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিলে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এমন নির্দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। সূত্র- দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের, স্টেটসম্যান।
কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাতে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া আসে, সেজন্য ইমরানে দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি নিউইয়র্কে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করবে। পাকিস্তানের দৈনিক ডনেও এসেছে এ খবর। সেখানে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে মোদি নিউইয়র্কে গেলে তার বিরুদ্ধে সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভ করা হবে। পিটিআইয়ের ফরেন চ্যাপ্টারের প্রধান আবদুল্লাহ রিয়ার সঙ্গে বৈঠকের সময় তাকে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন ইমরান খান।
কাশ্মির নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিউইয়র্ক টাইমসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এখন কোনো লাভ নেই। শান্তি ও সংলাপের যে প্রস্তাব তিনি নয়াদিল্লিকে দিয়েছিলেন, তা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া কাশ্মিরে মুসলমানদের উচ্ছেদ করে সেখানে নরেন্দ্র মোদি হিন্দু বসতি স্থাপন করতে যাচ্ছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইমরান খান বলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে কোনো ফল আসবে না। আমি বোঝাচ্ছি- সব ধরনের আলোচনা আমরা শেষ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত যখন আমরা পেছনের দিকে ফিরে তাকাই, সংলাপ ও শান্তির জন্য এ যাবৎ যত প্রস্তাব দিয়েছি, সবই তারা হালকাভাবে নিয়েছে। কাজেই ভারতের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসার দিকে তিনি আর এগোবেন না বলে জানান। তার সাফ কথা, এ ইস্যুতে আমাদের আর করার কিছুই নেই।
ভারতের সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
Leave a reply