ঢাকা ডাইনামাইটসকে ৫৭ রানে হারিয়ে অনায়াসে এবারের বিপিএল শিরোপা জিতলো রংপুর রাইডার্স। শক্তিশালী টিম হলেও ফাইনাল পর্যন্ত আসতে ভাগ্যের সহায়তা পেতে হয়েছিল রংপুরকে। তবে ক্রিস গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবে হেসে খেলে ফাইনাল ম্যাচ জিতে গেল মাশরাফী বাহিনী।
রংপুরের হয়ে আসরে নিজের ২য় সেঞ্চুরি করেছেন ক্রিস গেইল। পাশাপাশি ব্র্যান্ডন ম্যাককালামের ৫১ রানের কার্যকরী ইনিংসে ভর করে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ২০৭ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল রংপুর। শুরুতেই সাকিব চার্লসকে উঠিয়ে নেয়ার পর, টি-টোয়েন্টির দুই ফেরিওয়ালা তোলেন আতশবাজির ঝড়। রেকর্ড নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেন ক্রিস গেইল আর ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। গড়েন বিপিএল’র ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২০১ রানের জুটি।
৬৯ বলে গেইলের অপরাজিত ১৪৬ রান এবারের আসরের তো বটেই, বিপিএলের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন গেইল। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার রেকর্ডটাও নতুন করে নিজের নামে করে নিলেন। এলিমিনেটরে ১৪টি ছয়ের বিপরীতে ফাইনালে ১৮টি। ভাঙলেন ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ২০১৩ সালে মারা ১৭ ছক্কার রেকর্ড।
এলিমিনেটরে সেঞ্চুরি করেছিলেন গেইল, তারপর ২য় কোয়ালিফায়ারে সেই ধারা ধরে রাখেন জনসন চার্লস আর গেইল শেষটা উপহার দিলেন ফাইনালে। বিপিএলের গোটা ৪৬ ম্যাচে যেখানে সেঞ্চুরির কোন দেখা ছিলো না সেখানে টানা তিন ম্যাচে রাইডার্সের ৩ সেঞ্চুরি। বিশ্বের ৪র্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই ম্যাচেই ১১ হাজার রানের ক্লাবে ঢোকেন ক্যারিবীয় লিজেন্ড ক্রিস গেইল।
জবাবে, ব্যাট হাতে নামা ঢাকাকে প্রথম ধাক্কা দেয় মাশরাফি। প্রথম ওভারেই ০ রানে ফিরিয়ে দেন মেহেদী মারুফকে। দ্বিতীয় ওভারে সোহাগ গাজী ড্যানলিকে ফিরিয়ে দিলে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়ে ঢাকা। দলীয় ১৯ রানে সোহাগ গাজীর বলে মাশরাফির তালুবন্দি হয়ে এভিন লুইস ফিরে যান। এরপর সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টায় ছিল ঢাকা। কিন্তু ১৬ বলে ২৬ রান করে নাজমুল ইসলামের বলে সাকিব আউট হয়ে ফিরে গেলে ঢাকার শেষ সম্ভাবনাও যেন নষ্ট হয়ে যায়। একপ্রান্তে জহুরুল পিচ আকড়ে থাকলেও মোসাদ্দেক, আফ্রিদিরাও ছিলেন চরম ব্যর্থ। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পারলেন জহুরুল।
শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারয়ে ঢাকার সংগ্রহ ১৪৯। ক্রিস গেইলের ব্যক্তিগত সংগ্রহের চেয়ে মাত্র ৩ রান বেশি। ম্যাচসেরার পুরস্কার কে পেয়েছেন এরপর সেটা বলতে যাওয়াটা হাস্যকরই বটে!
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply