দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ, আগামী এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে যাতে করে দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এক স্বর্ণালী অধ্যায়।
তিনি বলেন, ভারত বিভিন্ন দেশ থেকে যে পরিমাণ মানুষ আসে তার চেয়ে বাংলাদেশীর সংখ্যা বেশি। গত বছরে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশীকে ভারতে গমনের ভিসা দেয়া হয়েছে। দুই দেশের সাংস্কৃতিক ধারাও এক। আগামীতে দুই দেশের সম্পর্ক যাতে আরও গভীর হয় সে লক্ষ্য নিয়ে আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে যাবেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে কথা হবে। চিলাহাটি থেকে সরাসরি ভারতের দার্জিলিং পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। ৬৫ সালের পূর্বে ভারত ও বাংলাদেশের যেসব এলাকা দিয়ে ট্রেন চলাচল ছিল সেসব লাইন দিয়ে পুনরায় রেল যোগাযোগ শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলার কাহারোল উপজেলার দীপ্ত জীবন ফাউন্ডেশন ও হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের মাঝে হুইল চেয়ার ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাট্টি, ভারতীয় হাই কমিশনারের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) নবনিতা চক্রবর্তী, দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জয়নুল আবেদীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরুপ বকসী বাচ্চু প্রমুখ।
এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে ভারত আমাদের পাশে ছিল। ভারতের মিত্র বাহিনীর সম্পৃক্ততায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের যে সম্পর্ক তা আগেও ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে। পরে দীপ্ত জীবন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ৬টি হুইল চেয়ার ও ১৫টি সেলাই মেশিন প্রতিবন্ধী ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করেন প্রধান অতিথি রীভা গাঙ্গুলী দাশ।
এর আগে দুপুরে রীভা গাঙ্গুলী নয়াবাদ মসজিদ পরিদর্শন শেষে ঐতিহাসিক কান্তজীউ মন্দির পরিদর্শন করেন। পরে সাঁওতাল বিদ্রোহ ও তেভাগা আন্দোলনের বিপ্লবীদের স্মরণে স্মারক ভাস্কর্য তেভাগা চত্বর পরিদর্শন করেন তিনি।
Leave a reply